১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কক্সবাজারে পরিবেশবান্ধব গ্যাস সরবরাহে জাতিসঙ্ঘ

-

কক্সবাজারে পরিবেশের উন্নয়ন, জীবিকার সুযোগ বৃদ্ধি ও পরিবেশবান্ধব গ্যাস সরবরাহের উদ্যোগ নিলো জাতিসঙ্ঘ। কক্সবাজার অঞ্চলে বৃ উজাড় রোধ করতে ও জীবিকার সুযোগ বৃদ্ধির ল্েয বাংলাদেশ সরকারের সাথে জাতিসঙ্ঘের তিনটি সংস্থা মিলে শুরু করল সেইফ প্লাস প্রকল্প। আর কক্সবাজারে পরিবেশবান্ধব গ্যাস সরবরাহ করবে জাতিসঙ্ঘ সেইফ প্লাস প্রকল্প গতকাল শেরেবাংলানগরে অনুষ্ঠিত চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা বলা হয়। ঢাকাস্থ জাতিসঙ্ঘের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সেইফ একসেস টু ফুয়েল অ্যান্ড এনার্জি প্লাস লাইভলিহুডস (সেইফ প্লাস) জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) যৌথ উদ্যোগে নেয়া হয়েছে এই প্রকল্প। এর মাধ্যমে বিভিন্নভাবে, যেমন : তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ও স্টোভ বিতরণ, পুনঃবনায়ন এবং লাইভলিহুডস কার্যক্রমের দ্বারা অধিকতর খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে পরিবেশ বিপর্যয় রোধে কাজ করা যাবে। শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি কক্ষ-২তে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা-এফএও বাংলাদেশের প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম বাংলাদেশের চিফ অব মিশন গিয়োর্গি গিগাওরি, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি-ডব্লিউএফপি বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রিচার্ড রেগান।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এলপিজি স্টোভ ও গ্যাস বিতরণের ফলে মানুষের জ্বালানি কাঠের প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে। ফলে জ্বালানি কাঠ ব্যবহারের মাধ্যমে সৃষ্ট পরিবেশের তি রোধ করা যাবে। এই পুনঃবনায়ন কার্যক্রম বনসম্পদ পুনরুদ্ধার এবং সেই সাথে প্রাকৃতিক সম্পদ রায় কাজ করবে। লাইভলিহুড ও সেল্ফ রিলায়েন্স কার্যক্রমের মাধ্যমে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবসার সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়। যার মাধ্যমে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি সংস্থাগুলোর সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পটির রূপরেখা তৈরি করা হয়। ইতঃপূর্বে, মানবিক প্রকল্পের মাধ্যমে এই কার্যক্রমগুলো সম্পন্ন করা হতো। এই চুক্তি স্বার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেইফ প্লাস প্রকল্পটি এখন একটি উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে রূপ নিলো, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এই অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন সাধন করা হবে। বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল বলেন, কক্সবাজারের পরিবেশবিষয়ক ব্যাপারগুলো চিহ্নিত করতেও এ নিয়ে কাজ করতে জাতিসঙ্ঘকে সাথে পেয়ে আমার মন্ত্রণালয় অত্যন্ত খুশি। আমরা উন্নয়ন সহযোগীদের এ ব্যাপারে আরও সহযোগিতা করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করছি। বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং জাতিসঙ্ঘ উইংয়ের প্রধান সুলতানা আফরোজ জাতিসঙ্ঘের তিন সংস্থাকে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান।
বছরজুড়ে ‘সেইফ প্লাসে’র মাধ্যমে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পরিবারগুলোকে লাইভলিহুডস কার্যক্রমের সাথে যুক্ত করা হবে। কৃষকদের বেশি চাহিদাসম্পন্ন সবজিগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য কারিগরি সহায়তা দেয়া হবে এবং এর পাশাপাশি চলতে থাকবে পুনঃবনায়ন কার্যক্রম।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল