২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

রাবির যৌন প্রতিরোধ সেল নিষ্ক্রিয়

-

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে ঝুলে আছে ১০টির মতো যৌন নির্যাতনবিষয়ক অভিযোগ। তবে এসব অভিযোগ থাকলেও নেই সেলের কার্যকারিতা। ফলে বন্ধ হয়ে আছে সেলের কার্যক্রম। এতে অভিযোগ নিষ্পত্তি নিয়ে বিপাকে অভিযোগকারীরা।
জানা গেছে, ওই সেলের সভাপতি ছিলেন সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি গত বছরের ৮ আগস্ট ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগপত্র জমা দিয়েই সভাপতির কার্যক্রম থেকে সরে আসেন তিনি। এ থেকেই বন্ধ হয়ে আছে সেলের কার্যক্রম। ফলে ঝুলে আছে প্রায় ১০টির মতো যৌন নির্যাতনবিষয়ক অভিযোগের নিষ্পত্তি।
এ বিষয়ে সেলের সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. লায়লা আরজুমান বানু জানান, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, ক্রপ সায়েন্স বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ১০টি অভিযোগ রয়েছে। সভাপতি না থাকায় সেলের কার্যক্রম এখন বন্ধ। দীর্ঘসূত্রিতা বাড়ছে। নতুন সভাপতি না এলে কার্যক্রম পরিচালনা একটু মুশকিল হয়ে পড়েছে।
সেলের কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, দায়িত্বের সময়ে বড় অভিযোগ ছিল শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক বিষ্ণুকুমার অধিকারীর বিষয়টি।
আমরা অভিযোগটার বিষয়ে অনেক দূর গিয়েছিলাম। শুধু ওই শিক্ষকের একটি বক্তব্য দরকার ছিল। শেষ পর্যন্ত চলে আসছিলাম তারপরও শেষটা হয়নি। এর পরেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলাম।
এ দিকে পদত্যাগপত্র জমা হলেও সভাপতিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে কি না সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত বা সেই পদে নতুন কোনো সভাপতি নিয়োগ দেননি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি।
পদত্যাগপত্রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হলেও সেলের কার্যক্রমে অংশ না নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি এবং আমাকে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। সে কারণে আমি আর সেলের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছি না। এখন নতুন কাউকে নিয়োগ দিয়ে সেলটি সক্রিয় করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement