২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজে লিফট ছিঁড়ে আহত ১২ পরীক্ষার্থী

-

রাজধানীর হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের লিফট ছিঁড়ে পড়ে আহত হয়েছেন ১০-১২ জন শিক্ষার্থী। গত রোববার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। লিফটম্যান ও আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের চেষ্টায় প্রায় আধঘণ্টা পর শিক্ষার্থীরা লিফট থেকে বের হতে সক্ষম হন। তবে লিফটে আটকে পড়ায় অনেক শিক্ষার্থী ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারেননি। এর আগেও কয়েক দফা লিফটটি বিকল হয়ে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন; কিন্তু লিফটটি মেরামতের ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের উদ্যোগ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তবে এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ ড. আব্দুল জব্বার মিয়া নয়া দিগন্তকে বলেন, লিফটটি বিকল হওয়ার ব্যাপারে কোনো শিক্ষার্থী কিংবা লিফটম্যান আমাকে কিছুই জানায়নি। তবে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকব।
লিফটে আটকে পড়া এক শিক্ষার্থী জানান, শান্তিনগরের হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজে অনার্স পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে। এখানে আশপাশের কয়েকটি কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে আসেন। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার জন্য আধা ঘণ্টা আগে আমাদের হলে ঢুকতে দেয়া হয়। বিভিন্ন তলায় আমাদের আসন রাখা হয়; কিন্তু ১২ তলাবিশিষ্ট ভবনে উঠতে গিয়ে হঠাৎ করেই লিফট বিকল হয়ে প্রায় দুই-তিন তলা পর্যন্ত নেমে আসে। এরপর থেমে যায়। লিফট একেবারে নিচে না পড়লেও হঠাৎ পতনে লিফটে থাকা ১০-১২ জন পরীক্ষার্থী আহত হন। এদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত¡া নারী পরীক্ষার্থীও ছিলেন। তিনি মারাত্মক আহত হন। লিফট এভাবে আটকে থাকলেও কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে লিফটের অন্ধকার পরিবেশে অনেকেই শাসকষ্টের শিকার হন। সবার চেষ্টায় কিছু অংশ ফাঁকা করে একে একে সেখান থেকে প্রত্যেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেরি হওয়ার কারণে শিক্ষকরা খাতা দিতে গড়িমসি করেন। অনুরোধের পর খাতা দিলেও প্রশ্ন দিতে আরো দেরি করেন। এতে পরীক্ষা শুরুর প্রায় এক ঘণ্টা পর প্রশ্ন পাওয়া যায়; কিন্তু শেষে আমাদের আর বেশি সময় দেয়া হয়নি। ফলে সব প্রশ্নের উত্তরও লেখা সম্ভব হয়নি।
মোশাররফ হোসেন নামে এক অভিভাবক নয়া দিগন্তকে বলেন, লিফট নষ্ট হওয়ার কারণে পরীক্ষার্থীরা যে ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারেনি তার দায়ভার কে নেবে? কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এর আগেও ওই কলেজে এ রকম ঘটনা ঘটেছে; কিন্তু তারা কখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement