২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
মিলারদের প্রতি খাদ্যমন্ত্রী

চালের দাম যেন আর না বাড়ে

-

খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চালের দাম যাতে আর না বাড়ে সে বিষয়ে চালকল মালিকদের (মিলার) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সবাই সরু চালের ভাত খাওয়ায় সরু চালের উপর চাপ বেড়ে গেছে। এই কারণেই ধানের দাম বেড়েছে। আমরা তো চাচ্ছিলাম ধানের দামটা বাড়–ক। দাম বাড়ায় সুফলটা কৃষক পাচ্ছে।
বাজারে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় গতকাল রোববার খাদ্য অধিদফতরে চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ওমর ফারুক, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, বাংলাদেশ অটোরাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি এ কে এম খোরশেদ আলমসহ মিলমালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
চালের দাম নিয়ে পেঁয়াজের মতো কেলেঙ্কারির আশঙ্কা করছেন কি না- জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘না, এ রকম আশঙ্কা করছি না। কারণ আমাদের কাছে সর্বকালের সর্বোচ্চ মজুদ আছে। বাজার কন্ট্রোল করার জন্য ওএমএস ডিলার রাখা আছে, তাদের ৩০ টাকা দরে চাল নেয়াতে পারছি না। তারা ৩০ টাকায়ও বিক্রি করতে পারবে না বলে সাহস পাচ্ছে না। তিনি বলেন, আমার কাছে পাঁচ বছরের সরু চালের রেট আছে। ২০১৪ সালে সরু চাল ছিল ৪৪ টাকা ৫২ পয়সা। ২০১৫ সালে ৪২ টাকা ৮৩ পয়সা, ২০১৬ সালে ৪৬ টাকা ৬৯ পয়সা, ২০১৭ সালে অস্বাভাবিভাবে বেড়ে হয়েছে ৫৭ থেকে ৫৮ টাকা। ২০১৮ সালে ৫১ টাকা ১০ পয়সা, আর আজকে রেট হলো ৫১ টাকা ১১ পয়সা। যখন কৃষকরা দাম পাচ্ছে না, তখন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে ধান কিনে যে চালের রেট, সেই রেটের সঙ্গে সব সময়ের রেট ধরলে হবে না। ওই রেট সব সময় থাকলে তো কৃষক জীবনেও দাম পাবে না।
গত এক মাসে কেজিতে ছয়-সাত টাকা বাড়ল, এটাকে আপনারা স্বাভাবিক মনে করছেন কি না- এ বিষয়ে মন্ত্রী সাধনচন্দ্র বলেন, যখন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা ধানের দাম ছিল, সেই ধান ভাঙিয়ে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা ছিল। সেই ধানটা এখন কৃষক ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি করছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কষ্ট হলো, কৃষক দাম না পেলেও যেমন আমাদের কষ্ট হয়, তেমনটি কৃষক দাম বেশি পেলে ভোক্তাদের চালের দাম বেড়ে যায়, তখনো কষ্ট হয়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এখন আমন কাটা শুরু হয়েছে। ধান উঠে যাবে, তাই বড় রকম দাম বাড়ার অবস্থা আর নেই।
খোরশেদ আলম বলেন, চালের দাম যাতে আর না বাড়ে সেই বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী আমাদের সতর্ক করেছেন। সহনীয়পর্যায়ে যাতে থাকে, মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, এই কথাগুলোই আমাদের ডেকে বলেছেন। বাজারটা যাতে আর উপরে না যায়, আমরা সেদিকে লক্ষ রাখব। তিনি বলেন, আমাদের চালের কোনো অভাব নেই, সঙ্কটও নেই।


আরো সংবাদ



premium cement