২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

চারুকলায় উৎসবে নবান্নকে বরণ

-

ভাটি-বাংলার ফসল তোলার ‘নবান্ন উৎসব’ উদযাপন করেছে লোকজ সংস্কৃতিপ্রেমী রাজধানীবাসী। শহুরে মানুষকে দেশজ সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে গতকাল উৎসবের মাধ্যমে বরণ করা হয় নবান্নকে।
গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদ আয়োজন করে এই উৎসবের। সকাল ৭টায় বাঁশি, বাংলা ঢোল, কিবোর্ড, গিটার ও অন্য যন্ত্রসঙ্গীতের সমন্বয়ে লোকজ সুরের আবহে শুরু হয় এবারের উৎসব। লায়লা হাসানের পরিচালনায় ‘সবুজ শোভা ঢেউ খেলে যা, ঢেউ খেলে যা আমন ধানের খেতে’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন নটরাজের শিল্পীরা।
প্রধান অতিথি হিসেবে আয়োজনের উদ্বোধন ও নবান্ন কথনপর্বে অংশ নেন নাট্যজন ফেরদৌসী মজুমদার। বক্তৃতা করেন নবান্নোৎসব উৎসব পর্ষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাঈম হাসান সুজা। সভাপতিত্ব করেন নবান্নোৎসব পর্ষদের চেয়ারপারসন লায়লা হাসান। ‘নবান্ন কথন’ পর্বের আলোচনায় অগ্রহায়ণের নবান্নসহ আবহমান বাংলার বিভিন্ন উৎসব যেন নগরায়নের প্রভাবে হারিয়ে না যায়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান সংস্কৃতিকর্মীরা।
উদ্বোধন ও নবান্ন কথনপর্ব শেষে শুরু হয় উৎসবের সাংস্কৃতিক পর্ব। এ পর্বে লোকগানের সঙ্গে নৃত্যের পাশাপাশি অগ্রহায়ণে বাংলার প্রধান ফসল ধানকাটা নিয়ে ছিল বিভিন্ন গান। পটগান, ধামাইয়া গানসহ বিভিন্ন ধরনের লোকগানের সঙ্গে শিল্পীরা গেয়ে শোনান দেশের গান, লালনগীতি, রবীন্দ্র সঙ্গীত ও নজরুল সঙ্গীত।
এ পর্বের শুরুতে ছিল দলীয় নৃত্য পরিবেশনা। ‘আমার বাংলা মায়ের মাটির সুরে জুড়ায় মনপ্রাণ’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যজন। ‘আহা রে খুশি খুশি মন, নবান্নে রইলো বন্ধু তোমার নিমন্ত্রণ’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে বকুল নৃত্যালয়।
সম্মেলক গানপর্বে ‘নবান্নতে রইলো বন্ধু তোমার নিমন্ত্রণ’ গান পরিবেশন করে বহ্নিশিখা, ‘শত স্বপ্নের দেশ আছে পৃথিবী জোড়া মানচিত্র’ পরিবেশন করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী পরিবেশন করে ‘আবার জমবে মেলা বটতলা হাটতলা’ গানটি।
একক গানপর্বে ‘হিংসা আর নিন্দা ছাড়ো, মনটা করো পরিষ্কার’ পরিবেশন করেন বিমানচন্দ্র বিশ্বাস, রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘সেদিন আমায় বলেছিলে’ পরিবেশন করেন সালমা আকবর, নজরুল সঙ্গীত ‘হৈমন্তিকা এসো এসো’ পরিবেশন করেন মাহজাবীন রহমান শাওলী। এ ছাড়া জয়ন্ত আচার্য, তানভীর সজীব, শারমিন সাথী ময়না একক গান পরিবেশন করেন। আবৃত্তিপর্বে আবৃত্তি করেন নায়লা তারান্নুম কাকলি ও বেলায়োত হোসেন।
উৎসবে গুড়-মুড়ি ও খই দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় অতিথিসহ উৎসবে আগত বাংলার সংস্কৃতির অনুরাগী ভালোবাসার মানুষগুলোকে। সকালের পর্ব শেষে বিকেলেও ছিল নবান্নোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।


আরো সংবাদ



premium cement
‘পেশাগত স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবব্ধ হতে হবে’ গাজাবাসীর প্রধান কথা- ‘আমাদের খাবার চাই’ অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই : ডা: শফিকুর রহমান সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সকল