২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি জ্ঞাপনপত্র প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রত্যাখ্যান

-

প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের নীতিনির্ধারণী কমিটির এক জরুরি সভা গতকাল পুরাতন পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় যৌথ বিবৃতিতে ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রধান শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড শিক্ষকরা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারণ ওই গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করলে শিক্ষকদের বেতন বাড়বে না বরং বেশির ভাগ শিক্ষকের বেতন কমে যাবে। ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তির পর প্রধান শিক্ষকদের সাথে সহকারী শিক্ষকদের বেতনবৈষম্য কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
কারণ সরাসরি প্রায় ২০ হাজার প্রধান শিক্ষক বর্তমানে ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। অবশিষ্ট পদোন্নতিপ্রাপ্ত ও চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা সহকারী শিক্ষকদের সমস্কেলে বেতন পাবেন। অধিকন্তু নিম্নধাপে উন্নীত স্কেলে ফিক্সেশন করলে প্রতি মাসে শিক্ষকদের বেতন এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা কমে যাবে। যে ক্ষতি শিক্ষকরা চাকরি শেষেও কাটিয়ে উঠতে পারবেন না। এর জন্য বর্তমান বেতন কাঠামোই দায়ী।
বিবৃতিতে বলা হয় শিক্ষকদের দাবি প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করে বেতনবৈষম্য নিরসন করা ও নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা একান্ত জরুরি বলে ঐক্য পরিষদের শিক্ষক নেতারা মনে করেন।
বিবৃতিতে আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বেতনবৈষম্য নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষক ঐক্য পরিষদ নেতারা। শিক্ষকদের অভিমত প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ হলেই তাদের বেতনবৈষম্য নিরসন হবে। অন্যথায় শিক্ষক নেতারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement