১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাংলাদেশ-নেপাল যোগাযোগ ও বাণিজ্য বাড়ানোর পরামর্শ রাষ্ট্রপতির

-

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বলিষ্ঠ যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও বিদ্যুতের ক্ষেত্রে সহযোগিতা, পর্যটন ও দু’দেশের জনগণ পর্যায়ে যোগাযোগের উন্নতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
রাষ্ট্রপতির সম্মানে গতরাতে নেপালের কাঠমান্ডুতে হোটেল ইয়াক অ্যান্ড ইতি-এ নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবি ভাণ্ডারীর দেয়া ভোজসভায় ভাষণদানকালে আবদুল হামিদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, টেকসই সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা, পর্যটন ও দু’দেশের জনগণ পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়ানোর মতো যেসব গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র যেখানে আমাদের দুই দেশের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই সহযোগিতা বাড়াতে হবে।’
বাংলাদেশ নেপালের সাথে সম্পর্ককে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের দুই দেশ ও জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক ও ভাষার বন্ধন রয়েছে।’ রাষ্ট্রপতি ও তার সফরসঙ্গীরা কাঠমান্ডুতে পৌঁছলে তাদের সম্মান ও ঊষ্ণ আতিথেয়তার জন্য তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নেপালের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও জনগণের পক্ষ থেকে দেয়া নৈতিক ও বস্তুগত সহায়তার বিষয়টি বাংলাদেশের জনগণ সর্বদা গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ নেপালের উন্নয়ন প্রকল্প বিশেষ করে ‘সমৃদ্ধ নেপাল, সুখী নেপাল’ ভিশন পূরণে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
বাংলাদেশে চলমান উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কার্যত বাংলাদেশকে আজ আর্থসামাজিক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আমাদের সরকার ২০২১ সালে এই দেশকে মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে দেখতে চায়।
বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে সক্ষম হবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্র ও আঞ্চলিক ফোরামে আমাদের ঐতিহ্যগত ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রাখব এবং অভিন্ন প্রত্যাশা পূরণে একসাথে কাজ করব।’
২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের জন্য গৃহীত কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি আশা করছি, বন্ধুপ্রতীম নেপালের জনগণ আমাদের এই আনন্দ ও সুখের মুহূর্তগুলো ভাগাভাগি করবে।’
এর আগে নেপালের প্রেসিডেন্ট ভাণ্ডারি তার স্বাগত বক্তব্যে বলেছিলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের পাশাপাশি উভয় দেশকে অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
বিদ্যা দেবী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের সুস্বাস্থ্য এবং নেপাল ও বাংলাদেশের জনগণের অব্যাহত সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানম, নেপালি ভাইস প্রেসিডেন্ট নন্দ বাহাদুর পুন, প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি, সংসদ সদস্য ও নেপালের উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিগণ, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, রেজওয়ান আহমাদ তৌফিক এমপি, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, পররাষ্ট্র সচিব মো: শহিদুল হক, রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বাড়ূয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল শামীম-উজ-জামান ও রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল