২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কাশ্মির সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে নিহত ১০

-

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার কাশ্মির সীমান্তে রোববার দুই পক্ষের গোলাগুলিতে সৈন্যসহ বহু বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে তাদের সাতজন এবং ভারতের পক্ষ থেকে তাদের তিনজন নিহতের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এ দিকে উভয়পক্ষের পরস্পরবিরোধী দাবি বিবেচনায় নিলে নিহতের সংখ্যা দেড় ডজন ছাড়িয়েছে। ডন, এনডিটিভি, রয়টার্স।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে দুই ভারতীয় সেনাসহ তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো তিন বেসামরিক। অন্য দিকে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে পাকিস্তানের এক সেনাসদস্য ও ছয় বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। ২০১৯ সালে একদিনে ভারতীয় বাহিনীর হামলায় এটিই সর্বোচ্চ প্রাণহানি। এ ঘটনায় আহত হয়েপ্রণ আরো ৯ জন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, কুপওয়ারা জেলার তনঘর সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পোস্ট লক্ষ্য করে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিবর্ষণ করলে সেনাসদস্যসহ বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। তবে ভারতীয় বাহিনীও পাল্টা গুলিবর্ষণের মধ্য দিয়ে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। এতে পাকিস্তান সীমান্তের অভ্যন্তরে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরেক প্রতিবেদনে আজাদ কাশ্মিরের চার ‘সন্ত্রাসী আস্তানা’ গুঁড়িয়ে দেয়ার দাবি করেছে ভারত। জি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, রোববার ভারতীয় বাহিনীর চালানো এ অভিযানে চার থেকে পাঁচজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে কমপক্ষে ১০-১৫ বেসামরিক নাগরিককে।
টুইটারে দেয়া এক পোস্টে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ভারতীয় বাহিনীর সাথে গোলাগুলিতে এক সেনাসদস্য শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো দুইজন। এ সময় পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ৯ ভারতীয় জওয়ান নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো অনেকে। দুইটি ভারতীয় বাংকার ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের দাবি, বিনা উসকানিতে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়েছে ভারত। অন্য দিকে ভারতের পক্ষ থেকেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ দিকে অধিকৃত কাশ্মিরে অবস্থানরত ভারতীয় বাহিনী ‘পাগল’ হয়ে গেছে বলে এক টুইটে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মির অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী রাজা ফারুক হায়দার। সেখানকার মুজাফফরাবাদ ও নীলম জেলায় বেসামরিক হতাহতের ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
হ্যাশট্যাগ দিয়ে কাশ্মির নিউ অ্যাটেনশন লিখে নিজের টুইটে তিনি বলেছেন, ‘চূড়ান্ত বর্বরতা। এ নিয়ে বিশ্বের নিশ্চুপ থাকা উচিত নয়।’
কাশ্মিরের কাঠুয়া জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবরও দুইপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি বিনিময় চলছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
আগস্টের প্রথম দিকে নয়াদিল্লি জম্মু কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর থেকে কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।


আরো সংবাদ



premium cement