১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এনামুল বাছিরের ফের জামিন আবেদন

-

ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ফের হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন। গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তিনি বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় তার জামিন আবেদন ফেরত নেন আইনজীবীরা। এরপর গত রোববার আরেকটি আবেদন হলফনামা দাখিল করেছেন তার আইনজীবী মো: নজরুল ইসলাম। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে এই জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানান তিনি।
গত ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয় ১-এ দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা শেখ ফানাফিল্লাহ বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
গত ২২ জুলাই রাত পৌনে ১১টায় দুদকের পরিচালক ফানাফিল্লাহর নেতৃত্বে একটি টিম মিরপুরের দারুস সালাম এলাকা থেকে এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করে। পরের দিন জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ছাড়া আসামি এনামুল বাছিরকে ডিভিশন দেয়ার জন্য আবেদন করলে আদালত কারা কর্তৃপক্ষকে জেল কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেন। এর আগে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, কমিশনের তথ্যপাচার ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে সংস্থাটি।
এনামুল বাছির ১৯৯১ সালে অ্যান্টিকরাপশন অফিসার (এসিও) হিসেবে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন।
ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চপদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ পায় দুদক। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য গত বছরের ১০ ফেব্রæয়ারি কমিশনের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। পরে ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে বাদ দিয়ে এ ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব পান এনামুল বাছির।


আরো সংবাদ



premium cement