২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আলমডাঙ্গায় গান শেখানোর প্রলোভনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

-

গান শেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে আলমডাঙ্গার ডাউকি গ্রামে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগিতা করার অপরাধে হাজেরা খাতুন নামের এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
অভিযোগ রয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার মৃত ইয়াছিনের ছেলে হবিবার (৬০) দীর্ঘ দিন ধরে নিজ বাড়িতে ফকিরের আড্ডাখানা চালিয়ে আসছেন। এরই জেরে বিভিন্ন এলাকার নারীদের নিয়ে তিনি গান-বাজনা করতেন। ছয় মাস আগ থেকে কথিত সাধু বাবা হবিবার ফকিরের দূর-সম্পর্কের নাতনি ষষ্ঠ শ্রেণীর ওই স্কুলছাত্রী বিভিন্ন সময় তার বাড়িতে যাতায়াত করত। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে তিনি ওই স্কুলছাত্রীকে দীর্ঘ দিন ধরে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর দাদী জানান, কয়েক মাস আগে নাতনির মাজায় একটি তাবিজ দেখতে পান তিনি। তাবিজের বিষয়ে জানতে চাইলে তাবিজটি হবিবার ফকির তাকে দিয়েছে বলে সে জানায়। এর কয়েক দিন পর স্কুলছাত্রীর দূর-সম্পর্কের চাচি ইউনুচ আলীর স্ত্রী ছকিনা খাতুন ও রাজ্জাকের স্ত্রী হাজেরা খাতুন বিভিন্ন সময় দিনে-রাতে ওই স্কুলছাত্রীকে ডেকে নিয়ে যেতেন। এতে করে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। কয়েক দিন আগে ছকিনা খাতুন নামের ওই নারী সন্ধ্যা রাতে ওই স্কুলছাত্রীকে ডাকতে আসেন। এ সময় তাদের পিছু নিলে কিছুক্ষণ পর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনা হাতেনাতে ধরা পড়ে। এ ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়ভাবে আপস-মীমাংসের চেষ্টা চালান ফকির হবিবার।
ধর্ষণের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর উপস্থিতিতে তার বাবা বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষকের সহযোগী হারেজা খাতুনকে আটক করা হয়। এ সময় ফকির হবিবার ও তার সহযোগী ছকিনা খাতুন পলাতক আছেন।
ধর্ষণের ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানার ওসি আসাদুজ্জামান মুন্সী জানান, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে পাঠানো হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement