১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তামাক পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের দাবিতে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ২৫ সংসদ সদস্যের চিঠি

তামাক পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের দাবিতে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ২৫ সংসদ সদস্যের চিঠি - ছবি : সংগৃহীত

তামাকজাত পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির দাবিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়েছেন ২৫ জন সংসদ সদস্য।

বুধবার এনবিআর চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ২৫ জন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষরিত অফিসিয়াল সুপারিশপত্র (ডিও লেটার) তুলে দেন বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম।

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটসহ সকল তামাকজাত পণ্যের ওপর সুনির্দিষ্ট করারোপের জন্য সুপারিশ করেন।

সুপারিশপত্রে স্বাক্ষরদাতারা হলেন- অধ্যাপক ডা: মো: আব্দুল আজিজ, ডা: সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল, ফেরদৌস আহমেদ, বিপ্লব হাসান, ডা: মো: হামিদুল হক খন্দকার, ডা: মো: সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, ডা: আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক, আরমা দত্ত, রুনু রেজা, ফরিদা আক্তার বানু, দ্রৌপদী দেবী আগারওয়াল, কানন আরা বেগম, মোসা. ফারজানা সুমি, সাবেরা বেগম, পারুল আক্তার, কোহেলী কুদ্দুস, অনিমা মুক্তি গোমেজ, জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, দিলোয়ারা ইউসুফ, শামীমা হারুন, রুমা চক্রবর্তী, খালেদা বাহার বিউটি, নাদিয়া বিনতে আমিন, নাজনীন নাহার রশীদ ও ঝর্ণা হাসান।

চিঠিতে বলা হয়, তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে কর বৃদ্ধি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত একটি পদ্ধতি। কিন্তু দেশের বিদ্যমান তামাক করব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ অর্জনে আশানুরূপ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারছে না।

তামাক ব্যবহারের কারণে দেশে প্রতিবছর এক লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।

চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এমতাবস্থায়,তামাকের নেতিবাচক প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তামাক-কর ও দাম বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বরাবর সুপারিশ করেছেন ২৫ জন সংসদ সদস্য। এ বিষয়ে আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে অনুরোধ করা হয়।

২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে তামাক ব্যবহারজনিত অসুস্থতায় যে চিকিৎসা ব্যয় হয়েছে তা তামাক খাত থেকে আসা রাজস্বের চেয়ে অন্তত ৩৪ শতাংশ বেশি। ওই বছর তামাক ব্যবহারজনিত কারণে ১ লাখ ৬১ মানুষ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। এই বিপুল মৃত্যু, আর্থিক এবং স্বাস্থ্যগত ক্ষতি চাইলেই এড়ানো সম্ভব। এর জন্য চাই তামাকবিরোধী শক্তিশালী আইন ও তামাকজাত পণ্যের ওপর কার্যকর করারোপ। তাই আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে তামাকজাত পণ্যের সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে তামাক পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়। সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement