ভারতে পা দিয়েই যা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩:১০
ভারতে পা দিয়েই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক বললেন, 'আমি গর্বিত হিন্দু! মন্দিরে যেতে চাই'।
ওই কথা বলে ভারতে অবস্থান করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। এ সময় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সামনে মুখ খুলেন তিনি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এই ভারত সফরে। জি-২০-এর মতো মেগা ইভেন্টে অংশ নেবেন তিনি। হিন্দু ধর্ম নিয়ে বিশেষ মন্তব্য করলেন ঋষি সুনাক।
তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, আমি গর্বিত হিন্দু। সেভাবেই আমি বড় হয়েছি। আমি এমনই। আশা করছি আমি কোনো মন্দিরে যেতে পারব। যেহেতু আমি কয়েকদিন এখানে রয়েছি। আমাদের সদ্য রাখি বন্ধন হয়েছে। আমার বোনদের কাছ থেকে রাখি পেয়েছি। আমার কাছে সেই সব রাখি রয়েছে। আমার জন্মাষ্টমী পালনের মতো যথেষ্ট সময় ছিল না। তবে এবার যদি কোনো মন্দিরে যেতে পারি তবে হয়তো সেটা পূরণ হবে। তবে এটা আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি বিশ্বাস আমাদের সবসময় সহায়তা করে। যাদের জীবনে বিশ্বাস আছে তাদের জন্য এটা খুব কার্যকরী। আমার মতো চাপের কাজ যারা করেন তাদের কাছে বিশ্বাসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বাস আমাদেরকে শক্তি দেয়। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হিন্দু ধর্ম নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন ঋষি সুনাক। বললেন, আমি গর্বিত হিন্দু। এর আগেও নিজের দেশে থাকাকালীনও হিন্দু ধর্মের সাথে জড়িয়ে থাকা তার আবেগকে তিনি আগেও জানিয়েছিলেন। কীভাবে তার ডেস্কের পাশে রাখা থাকে গণেশের মূর্তি রাখেন সেকথা জানিয়েছিলেন তিনি। আর এবার জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে এসে ভারতের মাটিতে পা দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বললেন, মন্দিরে যেতে পারলে খুব ভালো লাগবে। কার্যত হিন্দু ধর্মের সাথে জড়িয়ে থাকা আবেগকে তিনি তুলে আনলেন তার মতো করে।
সম্প্রতি রামকথার আসর বসেছিল ব্রিটেনে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। তিনি সেই সময় বলেছিলেন, ব্রিটিশের পাশাপাশি হিন্দু হিসেবে গর্বিত। ছোটবেলায় ভাই -বোনদের সাথে পুজো দিতে যেতাম। প্রসাদ খেতাম। মূলত এই যে সেবা করার ব্রত, এই হিন্দু মূল্যবোধটা ব্রিটিশ মূল্যবোধের সাথে মিলে যায়।
তিনি জানিয়েছিলেন, ‘ভগবান রামচন্দ্র সবসময় আমার অনুপ্রেরণা। বাপু আপনি যা করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার সত্য, ভালোবাসা আর দয়াশীলতার শিক্ষা এটা আজ আরো বেশি প্রাসঙ্গিক। ঋষি সুনক মঞ্চের আরতিতেও অংশ নেন।’
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে বসেছিল রামকথার আসর। সেখানে প্রবচন দিয়েছিলেন আধ্যাত্মিক গুরু মুরারি বাপু। আর তার সাথে দেখা করতে এসেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। এবার সেই ঋষি সুনক এলেন ভারতে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস