১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

হ্যান্ডবলে ইতিহাস গড়েই চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

হ্যান্ডবলে ইতিহাস গড়েই চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। - ছবি : নয়া দিগন্ত

মেয়েদের হ্যান্ডবলে বঙ্গবন্ধু আইএইচএফ চ্যালেঞ্জ ট্রফিতে অনূর্ধ্ব-১৭ বিভাগে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। হ্যান্ডবলের ইতিহাসে দেশে-বিদেশে নানা ট্রফি ও স্বীকৃতী অর্জন করলেও লাল সবুজরা কখনো হারাতে পারেনি ভারতকে। অলিম্পিকে ও ওয়ার্ল্ড হ্যান্ডবলে খেলা ভারতকে হারানোর কল্পনা করাও ছিল কষ্টকর। মাত্র এক মাসের ট্রেনিংয়ে মারফি, রুনা লায়লা, দিয়ারা ফাইনালে ৪৬-৪৩ গোলে হারিয়েছে বছরজুড়ে অনুশীলন করা ভারতের মেয়েদের।

বুধবার শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে বাংলাদেশ ৪৬-৪৩ গোলে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে। সাউথ-সেন্ট্রাল এশিয়া জোন-২ এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় এই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলবে বাংলাদেশ।

আসরে চার দলের মাঝে বরাবরের মতো ফেবারিট ছিল ভারত। মালদ্বীপ ও নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশ ফাইনালে খেলবে এটাই ছিল সবার লক্ষ্য। গ্রুপ পর্বে অনূর্ধ্ব-১৭ দল মালদ্বীপকে ৫০-৪ ও নেপালকে ৪৮-১০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে তৃতীয় ম্যাচে ভারতের সাথে গ্রুপ শীর্ষের লড়াইয়ে ৪৩-৩৩ গোলে হেরে শীর্ষ দুইয়ে থাকে মারফি বাহিনী।

তবে ফাইনালের আগে কোচ ডালিয়া ও দলের পিচ্ছি খ্যাত রুনা লায়লা জানালেন যে তারা সাধ্যের সবটুকুই দিবেন।

প্রধান গোলরক্ষক দিয়াকে ছাড়া এত সাহসী কথাবার্তার প্রমাণ পাওয়া গেল ফাইনাল শেষে।

প্রথমার্ধে ২০-২০ গোলে সমতা। বেশিরভাগ সময় পেণ্ডুলামের মতো দুলেছে ম্যাচের ভাগ্য। তীব্র লড়াইয়ে একবার ভারত এগিয়ে যায়, তো গোল করে আবারো সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। এর মাঝে কিপার মিথিলা ইনজুরিতে পড়েন। পরে দলের তৃতীয় গোলরাক্ষক আয়েশা সামাল দেন ভারতের আক্রমণগুলো।

খেলার ৪৪ মিনিটে লাল কার্ড পেয়ে কোর্ট ছাড়েন ভারতের প্রাধান্য বালাসো মানে। ফলে ওই সময় ছয়জনের দলে পরিণত হয় ভারত। ম্যাচে পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ভারত, ৩৩-২৮ গোলে। চার মিনিট বাকি থাকতে স্কোরবোর্ডে ৪০-৪১। অর্থাৎ প্রথমবারের মতো লিড মারফি বাহিনীর। আর ৬০ মিনিট শেষে স্কোরবোর্ডে জ্বলজ্বল করছিল ৪৬-৪৩।

কোচ ডালিয়া বলেন, ‘দলের ইনজুরির কথা চিন্তা করে একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে একজন কিপার বেশি নিয়েছি। যার ফলে এই সাকসেস। আপনি কল্পনা করতে পারেন! এক মাসের ট্রেনিংয়ে মেয়েরা কী এফোর্টটা দিয়েছে। তারা যদি ভারতের মতো সারাবছর প্রাকটিসে থাকে, তাহলে কোন পর্যায়ে যাবে বাংলাদেশ?

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনাগুলোকে বাস্তবতায় নিতে হবে। শেষ হাসিটা বাংলাদেশ হাসতে পারায় সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’


আরো সংবাদ



premium cement