২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ ক্ষতিপূরণ কি পাবেন উপকূলীয় উদ্বাস্তুরা?

‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ ক্ষতিপূরণ কি পাবেন উপকূলীয় উদ্বাস্তুরা? - ছবি : সংগৃহীত

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূল থেকে অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত পৈতৃক ভিটে মাটি ছেড়ে শহরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে দুর্যোগের কারণে এ সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলেই মনে করেন বিজ্ঞানীরা।

মিশরে সদ্য সমাপ্ত কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনে একটি ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিল গঠনে সম্মত হয়েছে বিশ্ব।

বাংলাদেশের মতো ঝড় জলোচ্ছ্বাস, বন্যা বা নদী-ভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতির শিকার দেশগুলোর জন্য এটিকে একটি বড় সুখবর হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের উপকূলের যে মানুষেরা উদ্বাস্তু হচ্ছেন বা ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছেন তাদের সহায়তা এবং পুনর্বাসনে এই তহবিল কাজ করবে বলে আশাবাদ তৈরি হয়েছে।

লস অ্যান্ড ড্যামেজ
কপ-২৭ সম্মেলনে দু শ‘টির বেশি দেশ সর্বসম্মতভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য তহবিল গঠনে একমত হয়েছে।

‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিলের আকার কত বড় হবে, কীভাবে কোন উৎস থেকে অর্থের যোগান আসবে আর এর বণ্টন কীভাবে বা কোন পদ্ধতিতে হবে এসবই চূড়ান্ত হবে পরের সম্মেলনে।

জলবায়ু বিজ্ঞানী সলিমুল হক এ তহবিল সম্পর্কে বিবিসি বাংলাকে বলেন, এখানে আমরা সবাই মিলে রাজি হয়েছি যে একটা তহবিল করবো। এখন এ তহবিলের গঠনতন্ত্র, টাকার পরিমাণ কত হবে, কোথা থেকে আসবে এবং কে পাবে এগুলো নিয়ে আমাদেরকে আলোচনা করতে হবে এবং আগামী বছর কপ-এ আমরা এগুলোকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে পারবো আশা করছি।

কপ-২৭ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, যখন অ্যাডাপটেশন ফেইল হয়ে যায় তখন আমরা বলি লস অ্যান্ড ড্যামেজ। একটা স্থায়ী ক্ষতি যেটা পূরণ করা সম্ভব না। এটা আমাদের অনেক দিনের একটা দাবি ছিল।

তহবিল সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে সাবের হোসেন বলেন, এখানে আমরা খুব দ্রুত সময় রাজনৈতিক ঐক্যমত্যে পৌঁছেছি। এখন যেটা হবে আগামী এক বছর একটা ট্রানজিশনাল কমিটি এখানে নিয়োগ দেয়া হবে এবং সেখানে এলডিসি’র প্রতিনিধিত্ব থাকবে। আশা করি বাংলাদেশও সেই কমিটির প্রতিনিধি হিসেবে কমিটিতে থাকবে। এই কমিটির কাজ হবে কোন কোন উৎস থেকে আমরা এই ফান্ডের যোগান দিতে পারবো, তহবিলটাকে সমৃদ্ধ করবো। তারপর কোন দেশ কী পরিমান ক্ষতিপূরণ পেতে পারে সেটার জন্য একটা ক্রাইটেরিয়া ঠিক করা।

সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, এখনই সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না তহবিলের আকার কত বড় হবে। আগামী বছর দুবাইতে কপ-২৮ সম্মেলনে সেখানে এই বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত হবে এবং একটা তহবিল গঠন করে চালু করতে পারবো। আশা করা হচ্ছে তহবিলটা বড় হবে। এটা শুধু বিলিয়ন না ট্রিলিয়ন ডলারেও পৌঁছে যেতে পারে।

সাবের হোসেন বলেন, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যে সমস্ত কমিউনিটি বা ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের জন্য এ তহবিল। একদিকে যেমন এটা একটা প্রাপ্তি যে আমরা ক্ষতিপূরণ পাবার একটা প্রত্যাশা করতেই পারি। তবে এর পাশাপাশি আমাদের যে সক্ষমতা আছে সেটার দিকেও এখন থেকেই আমাদের কাজ শুরু করতে হবে।

বাংলাদেশে দলে দলে উদ্বাস্তু
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বহু মানুষ নিজ এলাকা ছেড়ে শহরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

বার বার দুর্যোগের কবলে পড়ে মারাত্মক ক্ষতির শিকার এক জনগোষ্ঠীর দৃষ্টান্ত সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কলবাড়ি গ্রামের জেলেপল্লী।

অতীতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘর-বাড়ি হারিয়ে প্রায় চার দশক আগে ৫৪টি পরিবার মিলে বুড়িগোয়ালিনি ইউনিয়নে নতুন একটি স্থানে নদীর তীরে জেলেপল্লীটি গড়ে ওঠে।

কালক্রমে এই পল্লীকে ঘিরেই সেখানে হাট-বাজার এবং বসতী গড়ে ওঠে। অথচ এই পল্লীর জনবসতী দিন দিন কমছে।

ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলার পর থেকে পরিবারের সংখ্যা কমতে কমতে বর্তমানে টিকে আছে মাত্র ১৪টি পরিবার। কোনোরকম টিকে থাকা একটি পরিবারের সদস্য মালতি রানী সরকার।

তিনি বলেন, ‘উপকূলে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার চেয়ে প্রকৃতির সাথে সংগ্রাম করে টিকে থাকাই তাদের জন্য এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এখন খুবই অসহায় অবস্থায় আছি। নদীতে মাছও তেমন হচ্ছে না। ঝড়-বন্যা হলিতো আমাদের সব ভেঙেচুরে যায়। রাস্তা ভেড়িও ভালো না। ঘর-দরজাও ঠিকমতো রাখতি পারিনে।’

মালতি রাণী বলেন, বিশুদ্ধ খাবার পানির উৎস এখানে সীমিত। জেলেপল্লীর সবাইকে পানি কিনে খেতে হয়। অথবা বেশ খানিকটা দূর থেকে নৌকায় করে পানি সংগ্রহ করে আনতে হয়। এখন ঝড় বন্যাও হয় আগের চেয়ে বেশি। টিকতে না পেরে বেশিরভাগ পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘এখনো নদী ভাঙতেছে। নদীর জোয়ার উঠলি এখানে উঠোন বাড়ি সব ডুবে যাবে। আমাদের ঘরের কানাকানি পানি হবে। আবার যদি ইট্টু বাতাসের চাপ হয় তা ওই ঢেউ লেগে আমাদের ডোয়া-ডালি সব শেষ...’

ষাটোর্ধ্ব আঞ্জুমান আরা’র সাথে দেখা হয় একই ইউনিয়নের দাতিনাখালী গ্রামে তীর রক্ষা বাঁধের ওপর। তিনদফা ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে তার পরিবার। বার বার বসতভিটা হারিয়ে যেটুকু জমি আছে সেখানে ঘর করে বাস করেন আঞ্জুমান আরা ও হাবিবুর রহমান দম্পতি।

এখন তাদের দুশ্চিন্তা হলো আবার কোনো দুর্যোগ হলে তাদের শেষ ভিটেমাটিটুকুও থাকবে কিনা।

এ বয়সে কোথায় যাবেন?
আঞ্জুমান আরা জানান, তার আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী অনেকেই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি ছেল ওই গাঙ্গের মাঝখানে। ভিটে-বাড়ি বহুত লম্বা ছেলো। সেই ভিটে বাড়ি এটুক আছে। তা আমরা টেকপো কেম্বায়, কোন ভরসায় থাকপো?’

আইলার পর গত এক দশকে আমফান, ফনী, বুলবুলের মতো ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত হয়েছে এই দক্ষিণ উপকূল।

অনেকেই জমিজমা বসতভিটা ঘরবাড়ি, হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে অনেকের সহায় সম্বল। এরকমই একজন সেলিনা বেগমের আশ্রয় হয়েছে এখন পরের বাড়িতে।

সেলিনা বেগম বলেন, ‘কোনো ভরসা নেই যে আমরা এইখানে থাকতি পারবো। বহুত লোক ছেলো। কেউ নেইতো। সব কাইটে পড়িছে।’

উপকূলীয় এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং উদ্বাস্তুরা ক্ষতিপূরণ তহবিল থেকে সহায়তা পাবেন কিনা এ প্রশ্নে জলবায়ু বিজ্ঞানী সলিমুল হক বিবিসিকে বলেন, ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজের মধ্যে ক্লাইমেট মাইগ্রেশন (জলবায়ু অভিবাসন) ক্লাইমেট ডিসপ্লেসমেন্ট পড়ে। আমরা এগুলো ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবো।’

ক্ষতিগ্রস্তরা কী চাইছেন
উপকূলের উদ্বাস্তুরা অনেকেই বিভিন্ন শহরে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে এসেছেন রাজধানীতে।

সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপকূল থেকে সপরিবারে ঢাকায় আসতে বাধ্য হয়েছেন শহীদুল ইসলাম। ঢাকায় বাসা ভাড়া করে দু’সন্তান নিয়ে থাকেন শহীদুল-রোকসানা দম্পতির পরিবার। শহীদুল ইসলাম রিকশা চালান আর তার স্ত্রী রোকসানা বাড়ি ঘরে কাজ করেন।

তারা চান এমন একটা সুযোগ-সুবিধা হোক যাতে তারা নিজ এলাকায় ফিরে যেতে পারেন।

সেখানেই জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন। শহরে চলা তাদের জন্য খুবই কষ্টের।

শহীদুল ইসলাম বলেন, আমফান ঝড়ের পর ঘরবাড়ি হারিয়ে তিনি সপরিবারে ঢাকায় চলে আসেন। কিন্তু সুযোগ পেলে এলাকায় ফিরে যেতে চান তারা।

শহীদুল বলেন, ‘আমাদের ঘরবাড়িগুলো ভালো হলি কামাই রোজগারের একটা লাইন ভাল পাইলে আমরা মনে করেন দেশে থাইকে কামাই রোজগার করে থাকতি পারি।’

উপকূলের বাস্তুহারা এই মানুষেরাও ঢাকায় অতিকষ্টে জীবন যাপন করছেন।

উপকূলের ক্ষতিগ্রস্ত আরো বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হয়েছে যারা দিনমজুর, রাজমিস্ত্রির কাজ এবং রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

তারাও চান ক্ষতিপূরণ হিসেবে এলাকায় স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মাণ হোক এবং তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক।

উপকূলে পানির সমস্যা দূর করা এবং উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাও বড় দাবি উপকূলের উদ্বাস্তু এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের।

বাংলাদেশ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে।
বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ গত বিশ বছরে অন্তত ১৮৫টি দুর্যোগের শিকার হয়েছে।

এতে বহু মানুষের প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে বাংলাদেশ।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বছরে বাংলাদেশের কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে সেটি নিয়ে সাবের চৌধুরী বলেন, কত ক্ষতি হচ্ছে সেটা আমাদেরকে এখন দেখতে হবে। সেটার জন্য কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। গতমাসের শেষের দিকে আমাদের মন্ত্রিপরিষদ অনুমোদন দিয়ে যেটা আমরা বলছি ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান। সেখানে আমরা আগামী সাতাশ বছরে আমরা ধরে নিচ্ছি যে আমাদের প্রয়োজন হবে ২৩০ বিলিয়ন ডলারের।

এটা হচ্ছে শুধু অ্যাডাপটেশন (অভিযোজন)। এটা থেকেই আমরা বুঝতে পারছি যে এটা কী পরিমাণ হতে পারে। কারণ অ্যাডাপটেশনেই যদি আমাদের এ পরিমাণ তহবিলের প্রয়োজন হয় তাহলে লস অ্যান্ড ড্যামেজে কী হতে পারে।'

বাৎসরিক ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিয়ে সাবের চৌধুরী বলেন, শুধু অ্যাডাপটেশনের বিষয়টি ধরলেই বছরে সাত-আট বিলিয়ন ডলার ধরেই নেয়া যায়। সেই পরিমাণ ক্ষতিতো আমাদের হচ্ছে এবং আগামীতে এটা আরো বাড়তে পারে। কারণ দেখেন আমরা যে ক্ষতির অংকগুলো আমরা করেছি সেটা ছিল যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেধে রাখতে পারি। কিন্তু আমরা জানি যে সেটা হচ্ছে না।’

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, তহবিল আদায় বা নিশ্চিত করাটা হচ্ছে এটা প্রাথমিক পদক্ষেপ। তারপরে এটার ব্যয়টা যেন সঠিকভাবে হয়, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হয়। যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তাদের কাছে যেন অর্থায়নগুলো পৌঁছাতে পারে সেটার জন্য আমাদের অনেক কাজ করতে হবে।

তহবিল নিয়ে বাংলাদেশের করণীয়
আন্তর্জাতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম।

লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে এখন থেকেই বাংলাদেশের জোরালো প্রস্তুতি নিতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আজকে যে এলাকায় নদী ভাঙন হচ্ছে বা আজকে যে এলাকায় সাইক্লোন হচ্ছে বা আজকে যে মানুষ চলে আসছে ছয় মাস পরে হয়তো ভিন্ন জনগোষ্ঠী আসবে। কাজে বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ হবে এখনই স্থানীয় সরকার যারা আছে তাদেরকে আন্তর্জাতিক এ ফান্ড সম্পর্কে বলা এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যাতে তাদের রেকর্ড কিপিংটা সঠিকভাবে করতে পারে।

সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, আপনি টাকা চাইলেই আপনাকে দেবে এমন না। তারাও হয়তো ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ে আসবে। তখন যাতে আপনার সমস্ত ডকুমেন্ট তথ্য উপাত্ত প্রস্তুত থাকে সেজন্য কেন্দ্রে বসে ডিকটেট না করে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা এবং তাদেরকে এ ব্যাপারে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশের এরকম একটি তহবিল ব্যবস্থাপনার রূপরেখা আগে থেকেই প্রণয়ন করা দরকার।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ধরেন সরকার টাকা চেয়ে টাকা আনলেও সে টাকাটা যে আসলেই ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কাছে যাচ্ছে এটা আমরা কেমন করে নিশ্চিত করবো। সেজন্য বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ হবে এখনই জাতীয় পর্যায়ে একটা লস অ্যন্ড ড্যামেজ ফান্ড ক্রিয়েট করে সেটার রূপরেখা স্পষ্ট করে ফেলা। যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে যখন লস অ্যান্ড ড্যামেজের টাকাটা আসবে ওটা এই ফান্ডে জমা হতে পারে এবং এই রূপরেখা অনুযায়ী খরচ করা হতে পারে। তাহলেই আমরা নিশ্চিত হতে পারবো যে এই টাকাটা যাদের প্রয়োজনে আসছে তাদের কাছে যাচ্ছে।
সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
মাকে ভরণ-পোষণ না দেয়ায় শিক্ষক ছেলে গ্রেফতার প্রথম বাংলাদেশী আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত ঢাবির সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিরাপত্তা-বিষয়ক আলোচনা করতে উত্তর কোরিয়ায় রুশ গোয়েন্দা প্রধান বদলে যেতে পারে এসএসসি পরীক্ষার নাম সীমান্তে বাংলাদেশীদের মৃত্যু কমেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাস্তি কমিয়ে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনে উদ্বেগ টিআইবির যখন দলকে আর সহযোগিতা করতে পারবো না তখন অবসরে যাবো : মেসি ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান আর নেই বিএনপি নেতাকর্মীদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ খণ্ডালেন ওবায়দুল কাদের

সকল