২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

প্রতি ৮ জনের ১ জন মারা যায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে

প্রতি ৮ জনের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে -

ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। ২০১৯ সালের হিসাবে বিশ্বেব্যাপী মৃত্যুর ঘটনায় প্রতি আটজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে। মঙ্গলবার প্রাণঘাতি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে মৃত্যুর এই অনুমিত হিসাব প্রকাশ করা হয়।

ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত এই নতুন গবেষণায় ২০৪টি দেশ ও অঞ্চল জুড়ে ৩৩টি সাধারণ ব্যাকটেরিয়া প্যাথোজেন এবং ১১ ধরনের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর এই হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।

মাইক্রোঅর্গানিজম এজেন্ট বা প্যাথোজেনগুলোর কারণে কোভিড মহামারী শুরু হওয়ার আগের বছর ২০১৯ সালে ৭.৭ মিলিয়ন লোকের মৃত্যু হয়েছে। যা বিশ্বব্যাপী মোট মৃত্যুর ১৩.৬ শতাংশ।

গবেষণায় বলা হয়েছে, এটি হার্ট অ্যাটাক ও হৃদরোগের পরে মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ তৈরি করেছে।

৩৩টি ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে মাত্র পাঁচটি ব্যাকটেরিয়া অর্ধেক মৃত্যুর জন্য দায়ী। এগুলো হলো- স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস, এসচেরিচিয়া কোলি, স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনিয়া, ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়া এবং সিউডোমোনাস অ্যারুগিনোসা।

এস. অরেয়াস একটি ব্যাকটেরিয়া যা মানুষের ত্বক এবং নাকের ছিদ্রে অবস্থান করে যা সাধারণ বিভিন্ন রোগের পিছনে রয়েছে। তবে ই. কোলাই সাধারণত খাদ্যে বিষক্রিয়ার মাধ্যমে সংক্রমিত করে।

সমীক্ষাটি গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজের কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হয়েছিল, এই বিশাল গবেষণা কার্যক্রমে বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার গবেষক জড়িত ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের পরিচালক, গবেষণার সহ-লেখক ক্রিস্টোফার মারে বলেছেন, ‘এই নতুন ডেটা প্রথমবারের মতো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জের সম্পূর্ণ মাত্রা প্রকাশ পেয়েছে।’

‘এই ফলাফলগুলোকে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য উদ্যোগের নজরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যাতে অত্যন্ত মারাত্মক এই রোগজীবাণুগুলো শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমানো যায়।’ গবেষণাটি দরিদ্র এবং ধনী অঞ্চলের মধ্যে তীব্র পার্থক্য নির্দেশ করে।’

সাব-সাহারান আফ্রিকায়, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে প্রতি লাখে ২৩০ জন মারা গেছেন।

ধনী দেশগুলোতে এই সংখ্যাটি প্রতি এক লাখ লোকের মধ্যে ৫২-এ নেমে এসেছে, যাকে গবেষণায় ‘উচ্চ আয়ের সুপার-অঞ্চল’ বলা হয়েছে, যার মধ্যে পশ্চিম ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার দেশগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল