২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিশুদের মধ্যে দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটাতে হবে : রাষ্ট্রপতি

- ছবি - সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে মৌলিক অধিকার প্রদানের পাশাপাশি তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটাতে হবে।

তিনি আগামীকাল (৩ অক্টোবর) ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২২’ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামীকাল সোমবার ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২২’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ শুভক্ষণে আমি বিশ্বের সকল শিশুর প্রতি জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা, স্নেহ ও ভালোবাসা।’

আবদুল হামিদ বলেন, শিশুরাই ভবিষ্যৎ পৃথিবীর নেতৃত্ব দেবে। তাই বিশ্বকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে হলে শিশুদের সুন্দর করে গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশে স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা, নিরাপত্তা ও সুস্থ বিনোদনের বিকল্প নেই। আজকের শিশুরা জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠলে আগামী দিনের বিশ্বে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বিশ্বের সকল শিশুর অধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি উপলব্ধি করে জাতিসঙ্ঘ শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ সনদের অনুস্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ শিশুদের কল্যাণে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে।

তিনি বলেন, “১৯৮৯ সালে ঘোষিত জাতিসঙ্ঘ শিশু অধিকার সনদের অনেক আগেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় ‘শিশু আইন ১৯৭৪’ প্রণয়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার শিশু অধিকার সংরক্ষণ, শিশুর প্রতিভা বিকাশে সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনাসহ শিশু নির্যাতন বন্ধ, বিশেষ করে কন্যা শিশুদের প্রতি বৈষম্য বিলোপ সাধনে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি ২০১০’, ‘জাতীয় শিশু নীতি ২০১১’, ‘শিশু আইন ২০১৩’ এবং ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’। সরকারের এ সকল পদক্ষেপ শিশুর শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”

রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা করেন, শিশু অধিকার সপ্তাহ ও বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপনে গৃহীত কর্মসূচি শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে, এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশু স্নেহ, মমতা ও নিরাপদে বিকশিত হোক বিশ্ব শিশু দিবসে এটাই প্রত্যাশা। শিশুরা আরো ভালো থাকুক, নিরাপদ থাকুক এবং এগিয়ে যাক সুবর্ণ ভবিষ্যতের দিকে।

তিনি ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২২’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement