২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিএসএমএমইউ’র প্রিজন সেল রিসোর্টে পরিণত হয়েছে : দুদক আইনজীবী

- ছবি : সংগৃহীত

বিএসএমএমইউ’র প্রিজন সেল রিসোর্টে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের আবেদনের শুনানিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিকালে বলেন, ভিআইপি বন্দিরা কারাগারে গেলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ’র প্রিজন সেলে আসেন। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, যেন প্রিজন সেল রিসোর্টে পরিণত হয়েছে। এই চর্চা বন্ধ করতেই হবে।

ডেসটিনির গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় নিম্ন আদালতে চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত কারাগারে থাকা সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠনে গতকাল আবেদন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে শুনানি শেষে আদালত আজ সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠনে নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ৯ জুন হারুন-অর-রশিদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। ওইদিন আদালতে হারুনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের দায়ে গত ১২ মে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনকে ১২ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু একই মামলায় কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের’ কথা বিবেচনায় নিয়ে আদালত তার সাজা কমিয়ে দেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায়ে ৪৫ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি দুই হাজার তিন শ’ কোটি টাকা জরিমানা করেছেন।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্রায় এক হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় মামলা করেছিল দুদক। ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট অভিযোগ গঠন করে আদালত আসামিদের বিচার শুরুর আদেশ দেন।

২০০০ সালে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড নামে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি দিয়ে এই গ্রুপের যাত্রা শুরু। পরের বছরে বিমান পরিবহন, আবাসন, মিডিয়া, পাটকল, কোল্ড স্টোরেজ, বনায়নসহ বিভিন্ন খাতে ৩৪টি কোম্পানিতে ডেসটিনির নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়। পরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে চার হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে এ কোম্পানির বিরুদ্ধে। এর মধ্যে মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এক হাজার ৯০১ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল ডেসটিনি। সেখান থেকে এক হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। তাতে সাড়ে আট লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতির মুখে পড়েন।

আইন অনুযায়ী অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছরের কারাদণ্ড। ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনকে সেই দণ্ডই দেন আদালত। পাশাপাশি তাকে দুই শ’ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন বছরের সাজা দেয়া হয়েছে রায়ে।

আর ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশীদকে চার বছরের কারাদণ্ড এবং সাড়ে তিন কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। চার বছরের দণ্ড এ আইনে সর্বনিম্ন সাজা।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
আজও স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, ক্লাস চলবে শনিবারও মিরসরাইয়ে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে লুট, মূল হোতা গ্রেফতার বৃষ্টি কামনায় ঈশ্বরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইসতিসকার নামাজ আদায় কুবিতে আল্টিমেটামের পর ভিসির কার্যালয়ে তালা ঝুলাল শিক্ষক সমিতি সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ শ্রমিক নিহতের খবরে ঈশ্বরগঞ্জে শোক দুর্যোগে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু কেন বাংলাদেশে? জবিতে ভর্তি পরীক্ষায় আসন বেড়েছে ৫০টি বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : ওবায়দুল কাদের মাটির নিচে পাওয়া গ্রেনেড মাইন মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে জবি, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা

সকল