২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কোভিড মহামারীর তৃতীয় বছর শুরু, মৃতের সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ

কোভিড মহামারীর তৃতীয় বছর শুরু, মৃতের সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ - ফাইল ছবি

কোভিড-১৯ মহামারীতে বিশ্বজনীন সরকারি মৃতের সংখ্যা ৬০ লাখের দ্বারপ্রান্তে, যাতে প্রতীয়মান হয় যে মহামারীর তৃতীয় বছর শুরু হবার পরেও তা শেষ হতে এখনো অনেক বাকি।

এই মাইলফলকটি মহামারীর সর্বশেষ করুণ বাস্তবতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যদিও জনগণ মাস্ক পড়া থেকে বিরত থাকছেন, ভ্রমণ শুরু করেছেন এবং বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরায় খুলতে শুরু করেছে।

প্রত্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলো বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে দুবছর ধরে রক্ষা পেলেও, দ্বীপগুলো এখন প্রথম প্রাদুর্ভাব এবং মৃত্যুর মোকাবেলা করছে, ওমিক্রন ভাইরাস যে পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করেছে।

হংকংয়ে মৃতের সংখ্যা এখন বাড়ছে। হংকং চীন মূলখণ্ডের ‘কোভিড শূন্য’ নীতি অনুসরণ করে তাদের পুরো ৭৫ লাখ জনগণকে এ মাসে তিনবার পরীক্ষা করেছে।

পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও আরো কয়েকটি পূর্ব ইউরোপীয় দেশে মৃতের সংখ্যা উচ্চে থাকা অবস্থায় এই অঞ্চলে এখন আসতে শুরু করেছে যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইউক্রেন থেকে ১০ লাখের অধিক শরণার্থী।

সম্পদ ও ভ্যাকসিনের লভ্যতা সত্ত্বেও, যুক্তরাষ্ট্রে এখন মৃতের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখের মতো।

বিশ্বে সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ হলেও, গত মাস থেকে সে সংখ্যা নিম্নমুখী।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোতে সামগ্রিক পরিসংখ্যান বৃহৎ দেশগুলোর তুলনায় কম হলেও, তাদের ক্ষুদ্র জনসংখ্যার জন্য তা তাৎপর্যপূর্ণ এবং যা তাদের দুর্বল স্বাস্থ্য সেবাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।

ব্রিটেনে ডিসেম্বর মাসে উচ্চহারে ওমিক্রনের প্রসারের পর সংক্রমণ কমতে শুরু করলেও তা এখনো উঁচুতে রয়েছে। ইংল্যান্ড মাস্ক ম্যান্ডেট এবং পজিটিভ আক্রান্তরা ঘরে থাকবে সহ সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।

আফ্রিকা মহাদেশে ২ লাখ ৫০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে। অনুমান করা হয় যে আফ্রিকা মহাদেশের এই অল্প মৃতের হার তাদের সঠিক পরিসংখ্যান না জানানো বা না দেয়ার কারণে। এছাড়াও এর কারণ সাধারণত তাদের অল্পবয়সী এবং কম চলাফেরা করা জনগণ।


আরো সংবাদ



premium cement