১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সংহতি সমাবেশে শিক্ষার্থীরা

আমরা অমেরুদণ্ডী ভিসি চাই না

- ছবি : নয়া দিগন্ত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমর্থন, ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ ও শিক্ষার্থীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংহতি সমাবেশ করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘সাস্টের পাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত সংহতি সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা এ সংহতি সমাবেশ করেন।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অর্ণি আঞ্জুম বলেন, ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা সবাই অমেরুদণ্ডী।

একটি বিশ্ববিদ্যালয় টিকে থাকে প্রশাসন তথা ভিসির ওপর নির্ভর করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রক্টরের কাজ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেয়া, সরকারের পা চাটা নয়য়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সেটিই সাধারণত হয়ে থাকে। সরকারের পা চাটা অমেরুদণ্ডী ভিসি আমরা চাই না।

আকিফ আহমেদ বলেন, সাস্টে যা হচ্ছে তা শুধু ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নয়।

ঢাবিতেও প্রশাসনের এ রকম অসহযোগিতামুলক আচরণ আমরা পাই। এটা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। একজন ভিসি অবশ্যই সম্মান পাবার যোগ্য কিন্তু সেই সম্মান তার নিজেকে রাখতে হবে। যে ভিসি তার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারে না তার ভিসি থাকার কোনো দরকার নাই।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের ভিসিকে নিয়ে সমালোচনা করতে পারি কিন্তু খারাপ লাগে তখন যখন পাড়ার চায়ের দোকানদার আমাদের ভিসিকে নিয়ে ইয়ারকি-মসকরা করে। তাদের নিজেদের অবস্থানগুলো বোঝা উচিৎ। আহমদ ছফা তার গাভী বিত্তান্তে একজন ভিসির গরু পোষার কথা লিখেছিলেন। কিন্তু ছফা যদি সেই উপন্যাস এখন লিখতেন তাহলে লিখতেন, ভিসিদের গরু পোষার মতো যোগ্যতাও নেই।

ঢাবি শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, সাস্টের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যারা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান তারা সবাই অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা। সিন্ডিকেট মেইনটেইন করে ও সরকারের পা চেটে তারা এইসব নিয়োগপ্রাপ্ত হন৷

শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে একজন শিক্ষককেও পাওয়া যায় না কারণ তারা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালোমন্দের থেকে তাদের উদ্দেশ্যই থাকে সিন্ডিকেট মেইনটেইনের মাধ্যমে সরকারের পা চাটা।

শিক্ষার্থী জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, শোনা যাচ্ছে ৩৪টা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বৈরাচারী প্রশাসক এক হয়ে গেছে। তারা এক হতে পারলে আমাদেরও আজ সময় এসেছে এক হয়ে আন্দোলন করা, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব বাধা ভেঙে দাবি আদায়ের উপযুক্ত সময় এটাই।

সংহতি সমাবেশে উপস্থিত শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী হাসিবুর হাসান সিয়াম বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ হামলা করে শিক্ষার্থীদের আহত করেছে। এটা আমরা মানতে পারি না, মানি না এবং মানবও না। আমাদের আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত আন্দোলন না। কেউ আমাদের প্ররোচিত করছে না, আমরা নিরস্ত্রভাবে অহিংস আন্দোলন করছি। এই সময়ে আমরা আপনাদেরকে আমাদের পাশে চাই, আপনাদেরকে আমাদের প্রয়োজন।

সংহতি সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী লাবনী বন্যা, ছাত্রনেতা আরাফাত সাদ শোভন রহমান, জাবি শিক্ষার্থী ইভান তাহসীব, জবি শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান সুমিত, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক, রাগীব নাঈম, আল ফজলে রাব্বি, মাহমুদ নেওয়াজ, জয় কবিতা, নাজিব হায়দার এবং আবু রায়হান খান।


আরো সংবাদ



premium cement