১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যারা মন্দিরে কোরআন রাখে তারাই মন্দির ভাঙে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

যারা মন্দিরে কোরআন রাখে তারাই মন্দির ভাঙে - স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
যারা মন্দিরে কোরআন রাখে তারাই মন্দির ভাঙে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী - ছবি : সংগৃহীত

যারা মন্দিরে কোরআন শরীফ রাখে তারাই আবার মন্দির ভাঙে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম।

বুধবার রাজধানীতে নেদারল্যান্ডসের ডেল্টা ক্যাপ অ্যান্ড আইএইচই ডেলফট আয়োজিত ‘ডেল্টা প্লান-২০২১ বাস্তবায়ন ও জলবায়ু সহিষ্ণু নগর উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্তকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, একটি গোষ্ঠী ধর্মকে অপব্যবহার করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। উদ্দেশ্য উন্নয়নের ধারা ব্যাহত করা। তারা ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করতে চায়। তাই হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব ধর্মান্ধকে কঠোরভাবে প্রতিহত করুন।

মো: তাজুল ইসলাম বলেন, বন্যা, নদী ভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদী কৌশল হচ্ছে ডেল্টা প্ল্যান তথা ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০।

নেদারল্যান্ডসের আদলে গ্রহণ করা শতবর্ষী ডেল্টা প্ল্যানকে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, এই প্ল্যান বাস্তবায়নে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলোকে চিহ্নিত করে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে সরকার।

টেকসই উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, নগর এবং গ্রাম দুটোকেই সমান বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হচ্ছে। মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল-এমডিজি সফলভাবে বাস্তবায়ন করার পর এসডিজি-২০৩০ এবং জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা-২০৪১-এর রোডম্যাপ অনুযায়ী লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, শর্ট টার্ম অথবা লং টার্ম যে প্রকল্পই নেয়া হোক না কেন সেগুলো অবশ্যই টেকসই ও প্রডাক্টিভ হতে হবে এবং টাইমলাইন অনুযায়ী শেষ করতে হবে। আমরা অনেক প্রকল্প গ্রহণ করি কিন্তু বারবার প্রকল্পের সময় বৃদ্ধি করা হয় যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

তিনি বলেন, মানুষ শহরমুখী হওয়ার মূল কারণ হিসেবে যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয় তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নাগরিকের আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত না করা। এটি করা না গেলে শহরমুখী মানুষ ঠেকানো সম্ভব হবে না। আবার মানুষকে শহরে না আসার জন্য বাধাও দেয়া সম্ভব না। তাই প্রত্যন্ত অঞ্চলে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

মো: তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধ্বংসস্তুপ দেশ পেয়ে বলেছিলেন, ‘এদেশে আমার মাটি ও মানুষ আছে’। সেই মাটি ও মানুষকে সম্পৃক্ত করে এলাকা ভিত্তিক সম্পদের উৎসগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করা আছে, শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব আছে। সকল বাধা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে লক্ষ্যমাত্রা দেশ উন্নয়ের শিখরে পৌঁছে যাবে।

সিভিএফ বাংলাদেশের বিশেষ প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং নেদারল্যান্ডসের হেড অব মিশন আন্নি ভ্যান লিউয়েন।


আরো সংবাদ



premium cement