২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

জুন-জুলাইয়ে কোভ্যাক্সের টিকার ঘাটতির বিষয়ে ডব্লিওএইচও’র সতর্কতা

জুন-জুলাইয়ে কোভ্যাক্সের টিকার ঘাটতির বিষয়ে ডব্লিওএইচও’র সতর্কতা -

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) জুন -জুলাই মাসে কোভ্যাক্সের টিকার ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করে বলেছে এ কারণে টিকাদান কর্মসূচি বিঘ্নিত হবে।

বিশ্বে বিশেষত নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে করোনার টিকার ন্যায্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে কোভ্যাক্স গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১২৯টি দেশে কোভ্যাক্স আট কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে।

সংস্থার কোভ্যাক্সের দায়িত্ব পালনকারী ব্রুস আইলওয়ার্ড জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের আরো ২০ কোটি ডোজ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো এ পর্যন্ত ১৫ কোটি ডোজ দেয়ার অঙ্গীকার করেছে। তবে এতে সঙ্কট কাটবে না।

আইলওয়ার্ড বলেন, আমরা ডোজগুলো তাড়াতাড়ি না পেলে টিকা দেয়ার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হবো। কারণ আমরা এখনো যথাযথ অবস্থায় নেই। আমাদের হাতে যথেষ্ট ডোজ নেই।

তিনি দুটি সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, প্রথমত জুন- জুলাই মাসে টিকার দেয়ার জন্য খুব কম অঙ্গীকার করা হয়েছে। এর ফলে আমাদের ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে।

দ্বিতীয়ত, আমরা যদি বিশ্ব জনসংখ্যার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশকে চলতি বছর টিকা দিতে চাই তাহলে এখন থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ আরো ২৫ কোটি লোককে টিকার আওতায় আনতে হবে।

গভি এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপাপর্ডনেস ইনোভেশান্স এর সহায়তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে পরিচালিত কোভ্যাক্স যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে টিকার সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

কোভ্যাক্সে ৯৭ শতাংশ টিকা সরবরাহ করছে অ্যাস্ট্রাজেনকা। বাকিটা করছে ফাইজার বায়োএনটেক।
আস্ট্রানেকা ডোজের উৎপাদনকারী ভারতের সেরাম ইন্সষ্টিটিউট কোভ্যাক্সের মূল সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করছিল। কিন্তু আভ্যন্তরীণ সঙ্কটের কারণে নয়াদিল্লী টিকা রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে কোভ্যাক্স সঙ্কটে পড়ে।

তবে সেরাম বলছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তারা কোভ্যাক্সের সরবরাহ শুরু করতে পারবে বলে আশা করছে।

উল্লেখ্য, বিশ্বে এ পর্যন্ত ২০০ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে, যাকে মাইলস্টোন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কিন্তু এর ৩৭ শতাংশ দেয়া হয়েছে উন্নত দেশগুলোতে যেখানে বিশ্ব জনসংখ্যার ১৬ শতাংশের বসবাস।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement