১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গণপরিবহনে মাস্ক পরলেও স্যানিটাইজ করা হচ্ছে না

গণপরিবহনে মাস্ক পরলেও স্যানিটাইজ করা হচ্ছে না - ছবি - সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রায় এক মাস পর সারা দেশে চালু হয়েছে গণপরিবহন। করোনা মাহামারী ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে তা কঠোর লকডাউনে পরিণত করা হয়, যা এখনো চলমান রয়েছে। এ দিকে লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহন চালু হওয়াতে রাজধানী ঢাকা ফিরে পেয়েছে তার চেনা রূপ। ঢাকায় নতুনরূপে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এত দিন গণপরিবহন না থাকলেও যানজট নিরসনে হিমশিম খেতে হয়েছে ট্রাফিককে। এখন শুরু হয়েছে বাস চলাচল।

গণপরিবহন চালু হওয়ায় যাত্রী ও গণপরিবহনের মালিক, চালক ও শ্রমিকরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। সকালে অফিসগামী যাত্রীরা বাসের অপেক্ষা করলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে অনেক বাসকেই যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহনে যাতায়াত করতে দেখা গেলেও সব বাসে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, কাওরান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে প্রচণ্ড যানজট। কাওরান বাজার থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত রাস্তার উভয় লেনেই যানজটে গাড়ি আটকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বাসের পাশাপাশি বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে যাত্রীদের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলও। যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকও। বেশির ভাগ বাসেই যাত্রী এবং বাসের স্টাফরা মুখে মাস্ক পারলেও বাসে যাত্রী উঠানোর সময় তাদের হাত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে না। আসনগুলো যথাযথভাবে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে না।

৫ এপ্রিল লকডাউন শুরুর পর ব্যক্তিগত পরিবহন ও গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করেছে। অনেক অফিসও খোলা ছিল। বন্ধ ছিল শুধু বাস।

গণপরিবহন খোলার পর রাজধানীর বিভিন এলাকায় মানুষের ভিড় চোখে পড়েছে। বিশেষত রাজধানীর ফার্মগেটে ছিল যাত্রীদের অপেক্ষা। একটি বাস এলেই তাতে ওঠার জন্য হুড়াহুড়ি করতে দেখা গেছে। কিন্তু প্রতিটি বাসে আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নেয়ার কারণে সব যাত্রী বাসে উঠতে পারছেন না। যার কারণে অনেককেই দঁাঁড়িয়ে পরবর্তী বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থেকে স্বাধীন পরিবহনে কাওরান বাজার যাবেন বলে অপেক্ষা করছিলেন খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, প্রায় ৩০-৩৫ মিনিট ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে এত দিন পর যে বাসে যেতে পারবেন এ জন্য তিনি খুশি। কারণ এত দিন বাসভাড়ার চেয়ে চার-পাঁচ গুণ বেশি দিয়ে যাওয়া-আসা করতে হতো।

মিরপুর কাজীপাড়ায় ব্যাংক কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, গত এক মাস চার-পাঁচ হাজার টাকা বাড়তি খরচ করে মতিঝিলের অফিসে যেতে হয়েছে। শুধু বাড়তি টাকা খরচ নয়, অনেক কষ্টও করতে হয়েছে। রোজা থেকে কখনো হেঁটে, কখনো রিকশায় আবার কখনো মোটরসাইকেলে করে যেতে হয়েছে। গণপরিবহন চালু হওয়াতে করোনার ঝুঁকি থাকবে, তবে টাকা ও কষ্ট কম লাগবে।

শিকড় পরিবহনের চালক মামুন বলেন, গণপরিবহন চালু হওয়ায় বেঁচে থাকার আভাস পেয়েছেন তিনি। কারণ গত এক মাস কোনো কাজ না থাকায় টাকাপয়সা সব শেষ হয়ে গিয়েছিল। নিজের ও পরিবারের খাবারের জন্য মানুষের কাছে হাত পাততে শুরু করেছিলেন। এরই মধ্যে বাস চালু হওয়ায় আবার আয়ের পথ দেখতে পেয়েছেন। অপর এক চালক জানান, এক মাস পর বাস চালু হওয়ার প্রথম দিন হওয়ায় মালিকরা সব বাস রাস্তায় নামায়নি। যার কারণে বাসের সংখ্যা কম। তবে রাস্তায় যাত্রীর সংখ্যাও যে খুব বেশি তা নয়। শুধু সকাল ও বিকেলে অফিস শুরু ও ছুটি হওয়ার সময় যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া সারা দিনই যাত্রী কম থাকে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল