২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

অপরিকল্পিত লকডাউন বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে : রব

অপরিকল্পিত লকডাউন বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে : রব - ছবি : সংগৃহীত

করোনা নিয়ন্ত্রণে রোগী শনাক্তকরণ, কন্টাক্ট ট্রেসিং, আইসোলেশন এবং কোয়ারেন্টিনসহ যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে আংশিক লকডাউন, সর্বাত্মক লকডাউন, পুরোপুরি লকডাউন ইত্যাদি গাল ভরা ‘ঘোষণা’ করোনা নিয়ন্ত্রণে মোটেই সহায়ক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।

সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

আ স ম রব বলেন, সরকার ইতিপূর্বে করোনা নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে বহু আত্মতুষ্টি প্রকাশ করেছে কিন্তু এখন আর আত্মতুষ্টি প্রকাশ করার সময় নয়। গত এক সপ্তাহের লকডাউনের তেলেসমাতি জনগণের আস্থা দারুণভাবে বিনষ্ট করেছে। অপরিকল্পিত লকডাউন অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। তিনি বলেন, করোনার ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ‘জাতীয় ঐক্য’ গড়ে তোলা অনিবার্য হয়ে পড়েছে। ঐক্য মতের ভিত্তিতে লকডাউন কার্যকর করতে হবে। এই ধরনের সর্বগ্রাসী জাতীয় সঙ্কট কোন একক দলীয় সরকার দিয়ে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না। জাতীয় সঙ্কটে দল-মত নির্বিশেষে সবাই যখন সঙ্কটগ্রস্ত তখন সমগ্র জাতিকে কার্যকর ঐক্য স্থাপনের মাধ্যমে একক শক্তিতে পরিণত করে এই অদৃশ্য যুদ্ধকে মোকাবেলা করতে হবে।

ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, যেভাবে প্রতিদিন করোনায় মৃত্যু এবং সংক্রমণের বিস্তার ঘটছে, তা যথাযথ মোকাবেলায় ব্যর্থ হলে চরম বেদনাদায়ক অবস্থার সৃষ্টি হবে। এই ভয়াবহ বাস্তবতায় এখনো যদি সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে পূর্বের ন্যায় আত্মতুষ্টিতে ভুগতে থাকে তা জাতির জন্য চরম দুর্দিন বয়ে আনবে যা কারো কাম্য নয়। বিবৃতিতে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৫ দফা দাবি উত্থাপন করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ছানোয়ার হোসেন।

(১) সকল রাজনৈতিক দল, জ্ঞান-বিজ্ঞানের অধিকারী পেশাজীবী ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে 'জাতীয় ঐক্য' স্থাপন করতে হবে।

(২) করোনা নিয়ন্ত্রণে রোগী শনাক্তকরণ ও আইশোলেশন, কন্টাক্ট ট্রেসিং ও কোয়ারেন্টিনসহ সার্বিক উদ্যোগ নিতে হবে।

(৩) সমাজে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকা প্রদান কর্মসূচির বিস্তার ঘটাতে হবে।

(৪) স্বাস্থ্যবিধি পালনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে কেন্দ্র থেকে স্থানীয় পর্যায়ে পর্যন্ত কমিটি গড়ে তুলে জোর প্রচারণা চালাতে হবে, এবং

(৫) প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তথা নিরন্ন মানুষের খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল