২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে রাইড-শেয়ারিং মোটরসাইকেল চালকদের বিক্ষোভ

ঢাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে অ্যাপভিত্তিক মোটরসাইকেলের জনপ্রিয়তা পেয়েছে। - ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের ‘সংক্রমণ ঠেকানোর’ জন্য সরকার বিধি-নিষেধের অংশ হিসেবে মোটরসাইকেল রাইড-শেয়ারিং বন্ধ রাখার যে নির্দেশ জারি করেছে তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়েছে চালকরা।

মোটরসাইকেল চালকেরা বৃহস্পতিবার ঢাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অনেকে যাত্রী পরিবহন করছে।

রাজধানী ঢাকার অন্তত পাঁচটি জায়গায় - ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়ক, প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক, আগারগাঁও, শাহবাগ এবং বাড্ডায় মোটরসাইকেল চালকরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।

মোটরসাইকেল চালকরা রাস্তায় বিক্ষোভে নামলে শহরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

সরকারের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলে বর্ণনা করছেন চালকরা।

একজন মোটরসাইকেল চালক নূরে আলম বলেন, সরকারের বিধি-নিষেধ অনুযায়ী তাদের যাত্রী পরিবহন বন্ধ হলে তারা চরম আর্থিক সংকটে পড়বেন।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘সব যানবাহন চলতেছে, তাহলে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করতে অসুবিধা কোথায়?’

এছাড়া সকাল থেকে হাজার হাজার অফিসমুখো মানুষ যানবাহন সংকটের কারণে বিড়ম্বনায় পড়েছে।

সরকারের নতুন বিধি-নিষেধ অনুযায়ী গণপরিবহনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহন করতে পারবে। ফলে যানবাহন সংকটে পড়েছে হাজারো মানুষ।

অনেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে প্রতিদিন ঢাকার মিরপুর এক নম্বর থেকে আজিমপুর পর্যন্ত যাতায়াত করেন রবিউল ইসলাম।

তিনি জানান, পরিবহন সংকটের কারণে অফিসে যাতায়াত করা এখন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।

বাসে উঠতে না পেরে অফিসমুখো যাত্রীরা সকালে ঢাকার খিলক্ষেত সড়ক অবরোধ করেছে। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা রাস্তা থেকে ছেড়ে যায়।

এদিকে বৃহস্পতিবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভ্যাকসিন নেবার পরে অনেকে ঢিলেঢালা ভাব দেখানোর কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আবারো বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে এবং এজন্য জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।

দেশের মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দায়িত্বশীল আচরণের অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য গত ২৯ মার্চ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার। সে নির্দেশনার আওতায় বাস-ট্রেনসহ সকল গণপরিবহনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে বাস ভাড়া বেড়েছে ৬০ শতাংশ।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement