অ্যান্টিবডি টেস্টের অনুমোদন দিয়েছে সরকার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:৫৫
দেশে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় অ্যান্টিবডি টেস্ট অনুমোদন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রোববার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘অ্যান্টিবডি টেস্টের অনুমতি দেয়া হয়েছে। অনেক দিন ধরে দাবি করা হচ্ছিল অ্যান্টিবডি টেস্টের অনুমতি দেয়ার জন্য। তবে এখন এটি চালু করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। আজ আপনাদের যখন বললাম, তখন থেকেই এটি চালু হয়ে গেছে।’
শরীরে নির্দিষ্ট কোনো রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য শরীরের রক্তের নমুনা নিয়ে অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে কেউ করোনা বা অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন কি না, তাও বুঝতে পারা যায়।
এর আগে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিসহ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অনেকবার অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন। পরে অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করার অনুমতি দেয়া হলেও এত দিন ধরে অ্যান্টিবডি টেস্টের অনুমতি ছিল না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরো বলেন, ‘ভারত থেকে করোনার ২০ লাখ টিকার ডোজ আমরা পেয়েছি। সোমবার আমাদের আরো ৫০ লাখ ভ্যাকসিন আসবে বলে আশা করছি। এ জন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার ‘কোভিশিল্ড’ নামের টিকাটি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করছে। বাংলাদেশ ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য চুক্তি করেছে।
এ দিকে ভারত থেকে শুভেচ্ছা হিসেবে পাঠানো ২০ লাখ ডোজ টিকা গত বৃহস্পতিবার গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। আগামী ২৭ জানুয়ারি, বুধবার থেকে করোনার ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে বলে শনিবার জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আবদুল মান্নান।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে করোনার টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এর আগে স্বাস্থ্য সচিব মো: আবদুল মান্নান বলেছেন, প্রথম মাসে ৬০ লাখ টিকা দেয়া হবে। পরের মাসে দেয়া হবে ৫০ লাখ। তৃতীয় মাসে আবার ৬০ লাখ টিকা দেয়া হবে। প্রথম মাসে যারা টিকা নেবেন, তারা তৃতীয় মাসে আবার দ্বিতীয় ডোজ নেবেন।
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা