১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দাম মাত্র ৮৪৭ টাকা, রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বে তোলপাড়

- ছবি : সংগৃহীত

করোনা সামলাতে এখনো বেসামাল বিশ্ব। ভ্যাকসিন কবে আসবে, তা নিয়ে চলছে অধীর অপেক্ষা। এরই মাঝে সম্প্রতি ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা সুখবর শুনিয়েছিল।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তাদের তৈরি করা করোনা ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশ কার্যকরী বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। আর এবার পালা রাশিয়ার! তাদের ভ্যাকসিন সবচেয়ে নিরাপদ বলে আগেই দাবি করেছিল ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ।

এবার তাদের তরফে দাবি করা হল, প্রথম দফায় ৯২ শতাংশ সাফল্যের পর দ্বিতীয় দফাতেও এই 'স্পুটনিক V' ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশেরও বেশি কার্যকরী। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গামালেয়া রিসার্চ সেন্টারের তরফে জানান হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে 'স্পুটনিক V ভ্যাকসিনের দাম ১০ ডলারের কম হতে পারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় তার প্রায় ৮৪৭ টাকা। যা বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা ভ্যাকসিন হবে বলে দাবি রাশিয়ার।

মঙ্গলবার রাশিয়ার গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি এবং রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (আরডিআইএফ) তরফে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় দফায় প্রথম দফার ২৮ দিন পরে করোনা সংক্রমণ রুখতে ৯১.৪ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে 'স্পুটনিক V'। মোট ৩৯টি কেসের ক্ষেত্রে সেই মূল্যায়ন করা হয়েছে।
রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, ৪২ দিন পর ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বেড়ে হয়েছে ৯৫ শতাংশ।

যদিও চূড়ান্ত মূল্যায়নের জন্য কতগুলো করোনা কেস নেওয়া হয়েছিল, তা অবশ্য জানায়নি রাশিয়া। গামালেয়ার কর্মকর্তা অ্যালেক্সজান্ডার জিন্টসবার্গ বলেন, 'স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার এক সপ্তাহ পর দ্বিতীয় দফার মূল্যায়ন করা হয়েছিল। দুটি ডোজের ক্ষেত্রেই সাড়া দিয়েছে শরীর।'

তবে, দ্বিতীয় ডোজের তৃতীয় সপ্তাহ পর থেকে কার্যকারিতার হার অনেক বেশি করে বাড়বে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। তবে, ভ্যাকসিনটিকে ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৩৫.৬ থেকে ৪৬.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট)-এর মধ্যে রাখতে হবে।

অপরদিকে, ব্রিটেন ও ব্রাজিলে উচ্চপর্যায়ের গবেষণার পর অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের বিষয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তরফে জানানো হয়েছিল, ভ্যাকসিনের একটি ডোজ প্রয়োগের পর মানব শরীরে তা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে। তবে এক মাস পর ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে দেখা গিয়েছে, কার্যকারিতা রাশিয়ার ভ্যাকসিনের উলটো পথে, ৬২ শতাংশে নেমে এসেছে। সেই কারণে ভ্যাকসিনের গড় কার্যকারিতা ৭০ শতাংশ বলে দাবি অ্যাস্ট্রাজেনেকার।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার চিফ এগজিকিউটিভ পাস্কাল সরিওটের দাবি, 'করোনা মোকাবিলায় এই ভ্যাকসিন যথেষ্ট কার্যকার এবং মানব শরীরে নিরাপদ। এই ভ্যাকসিন বাজারে এলে জনস্বাস্থ্যে তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়বে। করোনার প্রকোপও অনেকটাই রুখে দেওয়া সম্ভব হবে।' কিন্তু অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন বাজারে কবে আসবে?

জানানো হয়েছে, 'চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই ভ্যাকসিনের লক্ষাধিক ডোজ সরবরাহ করা হবে। এই ভ্যাকসিন তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাতে সহজে পৌঁছে দিতেই ব্যবস্থা নেবে সংস্থা। বিশ্বজুড়েই এটি সহজলভ্য করে তোলা আমাদের লক্ষ্য।'

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


আরো সংবাদ



premium cement