২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঘুষ গ্রহণ ও মানি লন্ডারিং মামলায় ডিআইজি পার্থর বিরুদ্ধে চার্জ শুনানী ৪ নভেম্বর

ঘুষ গ্রহণ ও মানি লন্ডারিং মামলায় ডিআইজি পার্থর বিরুদ্ধে চার্জ শুনানী ৪ নভেম্বর - প্রতীকী

ঘুষ গ্রহণ ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় বরখাস্ত হওয়া সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে চার্জ শুনানি ৪ নভেম্বর। বৃহস্পতিবার মামলার চার্জ শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এই দিন পার্থকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু তার আইনজীবী চার্জ শুনানি করার জন্য প্রস্তুত না থাকায় সময় চেয়ে আবেদন করেন। ঢাকার বিশেষ জজ-১০ আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম শুনানী শেষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৪ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন এ চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ পার্থ গোপাল বণিককে আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ দুদকের দেয়া এই চার্জশিট গ্রহণ করেন। একই সাথে মামলার চার্জ গঠন শুনানির জন্য ঢাকার বিশেষ জজ-১০ আদালতে বদলী করেন।

চার্জশীটে উল্লেখ্য করা হয়, বরখাস্ত হওয়া কারা উপ-মহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। এসব টাকা গোপন করে তার নামীয় কোনো ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশে নিজ বাসস্থানে লুকিয়ে রেখে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

২০১৯ সালের ২৮ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপাল বণিকের নিজ ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। তার ঘোষিত আয়কর ফাইলে এ টাকার ঘোষণা নেই। আমাদের মনে হয়েছে, এই টাকা অবৈধ আয় থেকে অর্জিত। তবে ডিআইজি পার্থ দাবি করেছেন, ৮০ লাখ টাকা তার বৈধ আয় থেকে অর্জিত। এর মধ্যে ৩০ লাখ টাকা শাশুড়ি দিয়েছেন। বাকি ৫০ লাখ টাকা সারাজীবনের জমানো।


আরো সংবাদ



premium cement