২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের জানাজা, বিকেলে দাফন

- সংগৃহীত

শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ২টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সিনিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

পরে বিকেলে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

জানা গেছে, ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের প্রথম নামাজে জানাজা রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর এ আইনজীবীর লাশ নেয়া হবে পল্টনের বাসায়। সেখান থেকে লাশ নেয়া হবে বায়তুল মোকাররমে। জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

এরপর লাশ নেয়া হবে তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে। সেখানে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে বনানীর কবরস্থানে দাফন করা হবে সাবেক এ অ্যাটর্নি জেনারলকে।

ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সর্বজনশ্রদ্ধেয় সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হক রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।’

তিনি বলেন, ‘মরহুমের নামাজে জানাজা আজ বেলা ২টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়ার এ আইনজীবী (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

রক্ত শূন্যতা ও প্রস্রাবের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতা দেখা দেয়ায় গত শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ১৯৫৭ সালে দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে এলএলবি পাস করেন। ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বার এট ল’ সম্পন্ন করেন। ১৯৬৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে এবং ১৯৭৩ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে আইন পেশা শুরু করেন তিনি। 

তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা তথা অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রের ষষ্ঠ প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল)। বর্ণাঢ্য জীবনে আইন পেশায় দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছর পার করেছেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement