১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দশ দিনে ভারতে গেল ৮০৫ মেট্রিক টন ইলিশ

- সংগৃহীত

দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা হিসেবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত দশ দিনে ৮০৫.৭ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি হয়েছে ভারতে, যার মূল্য ৭৭ লাখ ৬৯ হাজার ১২০ মার্কিন ডলার। প্রতি কেজি ইলিশের রফতানি দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ মার্কিন ডলার হিসেবে ৮০০ টাকা। এই দরে রফতানি করা প্রতিটি ইলিশের সাইজ এক কেজি থেকে ১ হাজার ২০০ গ্রাম ওজনের।

মৎস্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ও বেনাপোলের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার ৯ জন রফতানিকারককে মোট ১ হাজার ৪৭৫ টন ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে। এ বছর ভারতে মোট ১ হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রফতানি করা হবে।

ইতোমধ্যে যশোরের শার্শার জনতা ফিস ৩২২ মেট্রিক টন, ঢাকার রিপা এন্টার প্রাইজ ১৭৫ মেট্রিক টন, টাইগার ট্রেডিং ২১০ মেট্রিক টন, ইউনিয়ন ভেঞ্জারের ১৭৫ মেট্রিক টন, গাজি ফ্রেশ সি ফুডসের ২৭০ মেট্রিক টন, খুলনার জাহানাবাদ সি ফুডসের ১৫০ মেট্রিক টন, চট্রগ্রামের প্যাসিফিক সি ফুডসের ১৫০ মেট্রিক টন, পাবনার সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং লিমিটেডের ১৫০ মেট্রিক টন ও বরিশালের মাহিম এন্টার প্রাইজের ১৭৫ মেট্রিক টন মাছ রফতানি করেছে। বেনাপোল কাস্টমস থেকে মাছগুলো ছাড়িয়ে রফতানির দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছে সিএন্ড-এফ এজেন্ট নিলা এন্টারপ্রাইজ।

সূত্র জানায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে ইলিশের চালান বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছালে কাস্টমস ও মৎস্য বিভাগ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বিকেলে রফতানির অনুমতি প্রদান করেন। পর্যায়ক্রমে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ভারতে গেছে।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মহিতুল হক জানান, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের কলকাতায় ইলিশ নিয়ে যাচ্ছেন। পরে সেখানকার বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে। কলকাতা ছাড়াও এই ইলিশ বিক্রি হবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে।

২০১২ সালের ১ আগস্ট বাংলাদেশ ইলিশ রফতানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর গতবছর শারদীয় দুর্গোৎসবে শুভেচ্ছা হিসেবে ৬ মার্কিন ডলার হিসেবে ৫০৭ টাকা কেজি দরে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার। ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছের সর্বশেষ চালান ভারতে প্রবেশ করে। ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement