২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রাজধানীর ২৫টি ওয়ার্ড

ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রাজধানীর ২৫টি ওয়ার্ড - ছবি : সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ২৫ ওয়ার্ড এখনও ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এর অডিটোরিয়ামে এডিসবাহিত রোগ নিয়ে বর্ষাকালীন এক জরিপের ফলাফলে এই তথ্য উঠে এসেছে।

গত ১৯ থেকে ২৮ জুলাই দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় এই জরিপ চালানো হয়।

জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৯টি ও দক্ষিণের ১৬ ওয়ার্ড এখনো ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের সূচক ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি।

ঢাকা উত্তরের ১০, ১১, ১৭, ১৯, ২১, ২৩, ২৪, ২৯, ৩২ ওয়ার্ডে এবং দক্ষিণের ২, ৪, ৮, ৯, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৮, ২৫, ৩৪, ৪০, ৪১, ৪৫ এবং ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে এডিস মশার উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে জরিপে।

মশার লার্ভার উপস্থিতি হিসাব করা হয় ব্রুটো ইনডেক্স বা সূচকের মাধ্যমে। জরিপে প্রতি একশ প্রজনন উৎসের মধ্যে ২০টি বা তার বেশিতে যদি এডিস মশার লার্ভা বা পিউপা পাওয়া যায়, তাহলে সেটাকে ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি বলা যায়।

পরিচালক, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডাইরেক্টর সিডিসি অধ্যাপক ডা: শাহনীলা ফেরদৌসীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) জুয়েনা আজিজ।

সভায় ফলাফল বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আফসানা আলমগীর খান।

জরিপের ফলাফল থেকে জানা গেছে, উত্তরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে (কল্যাণপুর, পাইকপাড়া ও মধ্য পাইকপাড়া) ব্রুটো ইনডেক্স সর্বোচ্চ ৪৩.৩ পাওয়া গেছে। ১৭ নম্বর (খিলক্ষেত, কুড়িল, কুড়াতলী, জোয়ারসাহারা, অলিপাড়া (আংশিক), জগন্নাথপুর, নিকুঞ্জ-১ ও ২, এবং টানপাড়া) ওয়ার্ডে এবং দক্ষিণে ৫১ নম্বর ওয়ার্ড (মীর হাজারীবাগ, ধোলাই পাড় ও গেন্ডারিয়া) ব্রুটো ইনডেক্স ৪০ পাওয়া গেছে।

মৌসুম জরিপ ২০২০- এ সর্বাধিক পজিটিভ কনটেইনার সমূহের মধ্যে পানিপূর্ণ পাত্র ১৫.৬%, প্লাস্টিক ড্রাম ১২.১৭%, প্লাস্টিক বালতি ৯%, ব্যবহৃত পরিত্যক্ত টায়ার ৮.৫২%, ফুলের টব এবং ট্রে ৮.২৭%, পানির ট্যাংক ৬.০৮%, মাটির পাত্র ৫.১১%, প্লাস্টিক বোতল ৩.৬৫%, টিনের বালতি ৩.১৬% এবং প্লাস্টিক মগ ২.৯২% সবচেয়ে বেশী পাওয়া গিয়েছে।

মৌসুম জরিপ ২০২০- এ প্রাপ্ত এডিস মশার পজিটিভ প্রজনন স্থানসমূহের শতকরা হার বহুতল ভবনে ৫১.৩৪%, নির্মানাধীন ভবনে ২০.৩২%,বস্তি এলাকায় ১২.৮৩%, একক ভবন সমূহে ১২.৫৭% এবং পরিত্যক্ত জমিসমূহে ২.৯৪% পরিলক্ষিত হয়।

মৌসুম জরিপে প্রাপ্ত এডিস মশার পজিটিভ কনটেইনার (পানির উপস্থিতিপূর্ণ)-এর শতকরা হার (পজিটিভ প্রজনন স্থান অনুযায়ী)-বহুতল ভবনে ৫০.৬১%, নির্মানাধীন ভবনে ২১.১৭%, বস্তি এলাকায় ১৩.১৪%, একক ভবন সমূহে ১২.৪১% ও খালি জমি সমূহে ২.৬৮% পাওয়া যায়।

বিজি সেন্টিনেল ট্রাপের মাধ্যমে সংগৃহীত পূর্ণাঙ্গ এডিস মশার ঘনত্বের হার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ১.৮৪% এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে- ৩.৪৭% পরিলক্ষিত হয়।


আরো সংবাদ



premium cement