২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হাটে না গিয়ে অনলাইন থেকে গরু কিনুন : আতিকুল ইসলাম

হাটে না গিয়ে অনলাইন থেকে গরু কিনুন : আতিকুল ইসলাম - সংগৃহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
হাটে যাওয়ার পরিবর্তে অনলাইন থেকে গরু কেনার জন্য নাগরিকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনায় কোরবানির পশুর হাটে ঝুঁকি রয়েছে। এজন্য হাটে না গিয়ে অনলাইন থেকে গরু কিনুন, যা আপনার বাসায় পৌছে যাবে। প্রয়োজনে পশু কোরবানি দিয়ে ই-কমার্সের মাধ্যমে গোশত আপনার বাসায় পৌছে দেয়া হবে। এতে সুস্থ গরু কেনা সম্ভব হবে বলেও মনে করেন মেয়র।

বৃহস্পতিবা এক ভিডিও বার্তায় আতিকুল ইসলাম এ আহবান জানান। মেয়র বলেন, এবার আমরা শহরের মধ্যে কোন পশুর হাট বসতে দেয়নি। ঢাকার বাইরে ফাঁকা জায়গায় দিয়েছি। এতে আমাদের ২০ কোটি টাকার মত রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু আমরা টাকাকে গুরুত্ব না দিয়ে মানুষের জীবনকে, স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়েছি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, একদিকে করোনা, স্বাস্থ্যবিধি, অন্যদিকে প্রান্তিক চাষী সব কিছুই মিলেই এবার কোরবানির পশুর হাট পরিচালনা করতে হচ্ছে। সবকিছু বিবেচনা করেই আমাদের ম্যানেজমেন্ট করতে হবে। এভাবেই করোনা না যাওয়া পর্যন্ত চলতে হবে।

তিনি বলেন, ঘনবসতি এলাকায় হাট কমানোর পাশাপাশি ডিজিটাল প্লাটফর্ম এনেছি। অনলাইনে গরু কিনলে ক্রেতার বাসায় পশু পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কেউ চাইলে কোরবানি দিয়েও তাদের বাসায় গোশত পৌছে দেয়া হবে। এজন্য আমাদের ঈদের দিন ৪০০ গরু, পরদিন ১০০০ গরু এবং তার পরের দিন ৬০০ গরু জবাই করে বাসায় পৌছে দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।

এভাবে মোট দুই হাজার গরু জবাই করে বাড়িতে পৌছে দেয়া হবে। এসব গরু স্বাস্থ্য সম্মত কিনা তা পরীক্ষা করা হবে এবং সার্টিফিকেটও দেয়া হবে। এতে ক্রেতারা ওষুধ দেয়া গরু কেনার ঝুঁকিমুক্ত হবেন।

তিনি বলেন, তবে যারা কোরবানির পশুর হাটে যাবেন তাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসতে হবে। বৃদ্ধ, শিশু ও গর্ভবতী মহিলারা হাটে আসতে পারবেন না। হাটে যারা আসবেন তাদের অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। হাটে হাত ধোয়ার জায়গা রাখতে ইজারাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মানুষ ও গরু দূরত্ব মেনে রাখতে হবে। এসব দেখার জন্য প্রতি হাটে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে বলেও তিনি জানান।

পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মেয়র বলেন, পশু কোরবানি নিজেদের বাসায় দেয়া যাবে। তবে অবশ্যই রক্ত ধুয়ে পরিস্কার করে ফেলবেন। ড্রেনের মধ্যে বর্জ্য ফেলা যাবে না। নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেললে আমাদের কর্মীরা ২৪ ঘন্টা কাজ করে বর্জ্য নিয়ে যাব।

তিনি করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, করোনা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে আমাদের আরো বেশি সজাগ থেকে পরিবার, সমাজ, শহর ও দেশকে নিরাপদ রাখতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement