২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বছরে সাপের কামড়ে ৬ হাজার মানুষের মৃত্যু

বছরে সাপের কামড়ে ৬ হাজার মানুষের মৃত্যু - ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৬ লাখ মানুষ সাপের কামড়ে শিকার হন। এতে ৬ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। গত বছর বাংলাদেশে বন্যার পানিতে মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ ছিল সাপের কামড়। চলতি বছর এখন পর্যন্ত সাপের কামড়ে মারা গেছেন একজন। বিষধর সাপের কামড়ের পর বেঁচে যাওয়া মানুষ বিভিন্ন ধরনের পঙ্গুত্ব ও মানসিক সমস্যায় ভুগে থাকেন।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ‘অরিয়েন্টেশন অন ‘স্নেকবাইট ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশে সাপ ও সাপের কামড় বিষয়ক গবেষক অধ্যাপক ডা: এম এ ফয়েজ এসব তথ্য জানান। ওয়েবেক্স অ্যাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও চিকিৎসকবৃন্দ।

অরিয়েন্টেশনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা: নাসিমা সুলতানা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা: সানিয়া তাহমিনা ও লাইন পরিচালক (নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম) ডা: মো: হাবিবুর রহমান।

অধ্যাপক এম এ ফয়েজ বলেন, সাপের কামড় সর্ম্পকে মানুষের মধ্যে অবৈজ্ঞানিক ভ্রান্ত ধারনা বিদ্যমান। সাপের কামড় ব্যাপকভাবে ঘটলেও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসার চর্চা এখনও সেভাবে শুরু হয়নি। বাংলাদেশে সাধারণত ৫ ধরনের বিষাক্ত সাপ রয়েছে। এগুলো হলো- গোখরা, কেউটে, চন্দ্রবোড়া, সবুজ সাপ ও সামুদ্রিক সাপ। সাপের কামড়ের চিকিৎসা নীতিমালা ২০১৯ অনুযায়ী এ্যান্টিকভেনম আনুষঙ্গিক চিকিৎসা, কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থার অনুসরণ করা হয়ে থাকে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলেন, নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে সকল সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি স্নেককভেনম ও অন্যান্য ওষুধ সরবরাহ করা হয় এবং সারাবছর ব্যাপি সচেতনতামূলক প্রচারণা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ এবং দ্রুত হাসপাতালে আসার জন্য প্রচারণা চালানো হয়।

এদিনের অনলাইন প্রশিক্ষণে সংযুক্ত ছিলেন প্রায় ৩০০ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা। উক্ত প্রশিক্ষণে রিসোর্স পার্সন হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা: অনিরুদ্ধ ঘোষ, ডা: আরিফুল বাশার শিমুল।


আরো সংবাদ



premium cement