২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শতবর্ষী নারীসহ কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠের করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার গল্প

- প্রতীকী ছবি

বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই বয়স্কদের সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি দেখা যাচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশেও আইইডিসিআর’র তথ্য মতে করোনায় ৬৫ শতাংশ বা তারও বেশি মৃত্যু হচ্ছে ৫০ উর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তিদের। মূলত, বয়োজ্যেষ্ঠদের শারীরিক অন্যান্য জটিলতা এই বাড়তি ঝুঁকির কারণ। কিন্তু তারপরও বিশ্বব্যাপী সেরে উঠছেন অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ।

বাংলাদেশ এমন অনেক বয়স্ক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এমনকি করোনা থেকে সেরে উঠছেন শতবর্ষী নারী খবিরুন্নেসাও। বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে এমনই কিছু বয়স্কদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আবারো সুস্থ হয়ে ওঠার গল্প প্রকাশ করেছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮৪ বছর বয়সী মোঃ মনসুর রহমান সরকার। তিনি বলছেন, উপযুক্ত চিকিৎসা হলে করোনা থেকে সুস্থতা লাভ করা সম্ভব। মোঃ মনসুর একজন হার্টের রোগী। তিনি জানান, হঠাৎ জ্বর ও মুখে অরুচির লক্ষণ দেখে তিনি করোনা টেস্ট করান। দুইবার টেস্ট করে নেগেটিভ আসলেও, তৃতীয়বারের করোনা টেস্টে তার পজিটিভ আসে। এভাবে মোট ছয়বার করোনা টেস্টের পর তার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।

তাকে ডাক্তার জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি করোনা মুক্ত।

মোঃ মনসুর বলেন, তিনি করোনা আক্রান্ত জানার পরও ভয় পাননি। মনে সাহস রেখে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করার মাধ্যমে তিনি করোনা থেকে সুস্থতা লাভ করেছেন।

এছাড়াও করোনা থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন ৬০ বছরের এক নারী। সুলতানা সালমা আহমেদ নামের ওই নারী হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি আগে থেকেই অ্যাজমা ও হাইপারটেনশনের রোগী ছিলেন। তিনি আক্রান্ত হন তার মেয়ের মাধ্যমে। মাথা ব্যথা, জ্বর, দুর্বল লাগা লক্ষণ দেখে তিনি করোনা পরীক্ষা করান। করোনা আক্রান্তের কথা শুনে অনেকেই তাকে ভয় দেখালেও, ভেঙে পড়েননি সালমা আহমেদ। একই সাথে চালিয়ে যান গরম পানি, কালো জিরার ঘরোয়া চিকিৎসা। দিনে চারবার ইনহেলার, কাশির ওষুধ ও বাকি নিয়ম মেনে তিনি এখন সুস্থ।

সবচেয়ে অবাক করেছেন ১০০ বছর বয়সী খবিরুন্নেসা। উনি একজন হার্টের রোগী, জানুয়ারি মাসেই স্ট্রোক এট্যাক হওযার পর থেকেই তিনি বিছানায় শয্যাশয়ী। এমনকি তার মুখে ক্যান্সারও ছিল। এই অবস্থায় তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। তার মেয়ের নাম সেলিনা জাকির। তিনি জানান, আল্লাহর রহমতে তিনবার টেস্ট করে তারা করোনা নেগেটিভ নিশ্চিত হয়েছেন। চিকিৎসাকালীন তার অক্সিজেন মাস্ক প্রয়োজন হলেও তার শতবর্ষী মায়ের সেটাও লাগেনি। করোনা থেকে আরোগ্য পেতে মনোবল অর্থাৎ সাহস রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। দুর্বল মন শরীরকে আরো অসুস্থ করে তোলা। তাই করোনা প্রতিরোধে সাহস ও সচেতন থাকতে হবে। সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement