২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কোটির ঘর অতিক্রম করল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা

কোটির ঘর অতিক্রম করল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা - ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা কোটির ঘর অতিক্রম করেছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে এই রিপোর্ট লেখার সময় ওয়াল্ডোমিটারের তথ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ১ কোটি ৪১৮ জন। মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৯৫২ জন।

ওয়াল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ শনাক্তের শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে প্রাণহানির সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ৯৫২ জন। করোনাভাইরাস ছড়ানোর মূলকেন্দ্র হয়ে ওঠা নিউইয়র্ক ও নিউজার্সি, যেখানে তাদের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে, সেখানে ২০টি অঙ্গরাজ্যে সংক্রমণ বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এরপরই রয়েছে ব্রাজিল। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার শনাক্ত হওয়া রোগীদের অর্ধেকের বেশি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের। এরপর উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় দক্ষিণ এশিয়ার রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

ব্রাজিলে মোট আক্রান্ত ১২ লাখ ৮৪ হাজার ২১৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫৬ হাজার ১৯৭ জনের। আক্রান্তের দিক দিয়ে তৃতীয় রাশিয়া। এই দেশটিতে মোট শনাক্ত ৬ লাখ ২৭ হাজার ৬৪৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৯৬৯ জনের। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ২৯ হাজারের বেশি, মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ১০২ জনের। যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ১০ হাজার ২৫০ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪৩ হাজার ৫১৪ জনের।

এদিকে শনিবার শনিবার দুপুর আড়াইটায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা: নাসিমা সুলতানা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৩ হাজার ৫০৪ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৭৮ জন। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ৬৯৫ জনে।

তিনি আরো জানান, ৫৮টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৯টি আর পরীক্ষা করা হয়েছে পূর্বের মিলে ১৫ হাজার ১৫৭টি। শনাক্তের হার ২৩.১২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১৮৫ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৪ হাজার ৩৫৮ জন। সুস্থতার হার ৪০.৫৪% এবং মৃত্যুর হার ১.২৭ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ৩২ জন ও নারী দুইজন।

বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১-৪০ একজন, ৪১-৫০ ছয়জন, ৫১-৬০ ছয়জন, ৬১-৭০ ১৩ জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সাতজন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩ জন ঢাকা বিভাগের। এরপরই আছে চট্টগ্রাম বিভাগ (১০ জন)। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন এবং বাড়িতে চারজন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৭২৬ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে ২৫৯ জনকে। ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকার। ১৮ মার্চ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

সূত্র : স্বাস্থ্য অধিদফতর ও ওয়ার্ল্ডোমিটার 


আরো সংবাদ



premium cement