২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতায় বিপর্যস্ত দেশ : বিএমএ’র সাবেক নেতৃবৃন্দ

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতায় বিপর্যস্ত দেশ : বিএমএ’র সাবেক নেতৃবৃন্দ - সংগৃহীত

বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সাবেক নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা ও বিপর্যস্ত অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন। বিএমএ’র সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম আজিজুল হক ও সাবেক মহাসিচব অধ্যাপক ডা. এ জে এম জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রতিদিনই সংক্রমন ও মৃত্যুর সংখ্যা আশংঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে ৫৭ হাজার ৫৬৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৭৮১ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে কত যে মৃত্যু হয়েছে এর কোনো পরিসংখ্যান নেই।

নেতৃদ্বয় বলেন, এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সম্মুখ যোদ্ধা হচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরই মধ্যে সহস্ত্রাধিক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যুবরণ করেছেন ২১ জন চিকিৎসক (করোনা পরীক্ষা শনাক্ত হয়ে ১৭জন ও করোনা উপসর্গ নিয়ে ৪জন) এবং নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট, অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন দেড় সহস্ত্রাধিক। অথচ আজ পর্যন্ত চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসার কোনো সঠিক ব্যবস্থাপনা করা হয়নি।

নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে বলেন, আমরা বিএমএ’র সাবেক নেতৃবৃন্দের পক্ষে অবিলম্বে কভিড-১৯ আক্রান্ত চিকিৎসকসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে পৃথক হাসপাতাল নির্দিষ্ট করার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্তত:পক্ষে বিভিন্ন কভিড হাসপাতালে তাদের চিকিৎসার জন্য পৃথক ওয়ার্ড, শয্যা সুনির্দিষ্ট করা এই মুহূর্তেই জরুরি। অন্যথায় চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর মনোবল ধরে রাখা দূরুহ হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আরটি পিসিআর টেস্ট দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাই। শুধুমাত্র পরীক্ষার দীর্ঘসুত্রিতার জন্য অনেক চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন এবং পরিবার ও অন্যান্য রোগীদের বিপদের কারণ হচ্ছেন। সেই সাথে রেপিড ব্লট টেস্টের অনুমোদন দিয়ে ন্যুনতম সময়ে রোগ শনাক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি করছি।

উল্লেখ্য সারা দেশে বর্তমানে ৫২টি সেন্টারে প্রতিদিন ২৫ হাজার আরটি পিসিআর টেস্টের সুযোগ রয়েছে। অথচ প্রতিদিন পরীক্ষা করা হচ্ছে সর্বোচ্চ ১২ হাজার। আমরা বিএমএ’র সাবেক নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে এই সেন্টারগুলোর বর্তমান সক্ষমতা অনুযায়ী সর্বোচ্চ পরীক্ষা নিশ্চিত করার এবং অতি দ্রুত সেন্টারগুলোর সক্ষমতা বাড়িয়ে প্রতিদিন অন্তত: পক্ষে ৫০ হাজার টেস্ট করার জোর দাবি জানাচ্ছি। স্বল্পতম সময়ে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়ে ব্যর্থ হলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে এবং দেশ এক ভয়াবহ সংকটের সম্মুখীন হবে। আমরা বাংলাদেশে মেডিকেল এসোসিয়েশনের সাবেক নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে সকল চি


আরো সংবাদ



premium cement