২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লকডাউনে কমে গেছে পৃথিবীর কাঁপুনি

লকডাউনে কমে গেছে পৃথিবীর কাঁপুনি - ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে শত শত কোটি মানুষ এখন কাজকর্ম ছেড়ে ঘরে বসে আছে। এর ফলে এই পৃথিবীর গতিবিধিও বদলে গেছে। কারণ, মানুষ বাইরে যাচ্ছেনা বলে গাড়ি-ট্রেন চলছে খুবই কম, লাখ লাখ ভারি শিল্প-কারখানা এখন বন্ধ।

আর এর ফলে, ভূ-পৃষ্টের ওপর চাপ কমে গেছে অনেক। ফলে পৃথিবী কাঁপছে কম। পৃথিবীর ওজন ছয় বিলিয়ন ট্রিলিয়ন টন। সেই বিবেচনায় এই পরিবর্তন বিস্ময়কর।

নাটকীয় পরিবর্তন
পৃথিবীর কাঁপুনি যে কমে গেছে তা প্রথম লক্ষ্য করেন বেলজিয়ামের রয়্যাল অবজারভেটরির বিজ্ঞানীরা। তারা বলেন, ‘লকডাউনের আগের তুলনায় ১-২০ হার্টস ফ্রিকোয়েন্সিতে (বড় একটি অর্গানের আওয়াজের যে ফ্রিকোয়েন্সি) ভূ-পৃষ্ঠের দুলুনি এখন অনেক কম।’

শুধু বেলজিয়াম নয়, পৃথিবী পৃষ্ঠের ই পরিবর্তন সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ভূকম্পন কমার বিষয়টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

নেপালের ভূকম্প-বিদরা একই প্রবণতা লক্ষ্য করেছেন। প্যারিস ইন্সটিটিউট অব আর্থ ফিজিক্সের একজন গবেষক বলেছেন, ফ্রান্সের রাজধানীতে ভূকম্পন ‘নাটকীয় মাত্রায়’ কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস শহরে কাঁপুনি কমে যাওয়ার মাত্রা দেখে বিস্মিত হয়েছেন ক্যাল টেক ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।

যে বিজ্ঞানীরা শব্দদূষণ মাপেন বা মহাসাগরের শব্দ নিয়ে গবেষণা করেন, তারা একবাক্যে বলছেন পৃথিবীতে আওয়াজ এখন অনেক কম।

পরিষ্কার সিগন্যাল
পৃথিবীর কম্পন কমলেও একদম যে স্থির হয়ে গেছে তা বলা যাবেনা। তবে গতিবিধির এই পরিবর্তনে উৎসাহিত হয়ে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা।

মানুষের নানা গতিবিধির কারণে এত শব্দ তৈরি হয় যে পৃথিবী ও প্রকৃতির স্বাভাবিক গতিবিধি পর্যবেক্ষণ তাদের জন্য কষ্টকর।

‘এখন আপনি এমন সিগন্যাল পাচ্ছেন যাতে কোলাহল অনেক কম। ফলে ওই সব সিগন্যালের ডেটা বিশ্লেষণ এখন সহজতর হচ্ছে,’ বলছিলেন ওয়াশিংটনে ইনকর্পোরেটেড রিসার্চ ইন্সটিটিউট ফর সিসমোলজির বিশেষজ্ঞ অ্যান্ডি ফ্রাসেটো।

কিছু বিজ্ঞানী সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পেয়েছেন যে কেন একটি এলাকায় ভূকম্পন কমেছে।

লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের স্টিভেন হিক্স বলছেন লন্ডন এবং ওয়েলসের মধ্যে যোগাযোগের প্রধান মহাসড়ক এম-ফোরের ওপর গাড়ি চলাচল কমে যাওয়ায় ওই মহাসড়কের দুই ধারের এলাকাগুলোতে ভূকম্পন অনেক কমে গেছে।

মৌসুমি পরিবর্তন
তবে শব্দ এবং ভূকম্পনের ওঠা-নামা একদম নতুন কিছু নয়। বছরের একেক সময়, দিনের একেক সময় মানুষের গতিবিধি বাড়ে-কমে। উৎসব চলাকালীন বা ছুটি চলাকালীন শব্দ বা ভূ-পৃষ্ঠের দুলুনি কমে যায়। তেমনি দিনের চেয়ে রাতের বেলা এগুলো কমে যায়।

তবে এখন যেটা হচ্ছে তা হলো সারা পৃথিবীব্যাপী কয়েক সপ্তাহ বা কোথাও কোথাও মাস জুড়ে মানুষের গতিবিধি অনেকটা কম। আর তাতে পৃথিবীর ওপর যে চাপ কমেছে তার নজির বিরল।

সূত্র : বিবিসি

 


আরো সংবাদ



premium cement
পঞ্চপল্লীর ঘটনায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে যা দরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে করার নির্দেশ সরকার ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে : মির্জা ফখরুল ধুনটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু বাকৃবির এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ১ দাগনভুঞায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় আ’লীগ নেতাকে শোকজ দখলে থাকা ৪ গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দেবে আর্মেনিয়া স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা! কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু যেসব এলাকায় রোববার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনা, সম্পাদক রনি

সকল