দেশের বাজারে সহজেই মিলছে বিদেশি ফুল
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ২১:৪০
সভা-সমাবেশ, বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে সুন্দর করতে প্রয়োজন পড়ে ফুল। দেশের বাজারে ব্যাপক চাহিদার প্রেক্ষিতে দেশি ফুলের পাশাপাশি এখন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের অনুষ্ঠানকে সজ্জিত করতে দেশি ফুলের পাশাপাশি স্থান করে নিয়েছে বিদেশি নানা জাতের হরেক রকম ফুল। এসব ফুল আসছে, চীন, ভারত ও থাইল্যান্ড সহ কয়েকটি দেশ থেকে। দামও হাতের নাগালে হওয়ায় ব্যবহার বাড়ছে ফুলগুলোর।
রাজধানীর শাহবাগ ফুলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি ফুলের পাশাপাশি বিদেশি জাতের গোলাপ সাজিয়ে রাখা আছে দোকান গুলোতে। এসব গোলাপ প্রতিটি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রং সাদা, হলুদ, টুকটুকে লাল আবার কোনোটির রং মিশ্র ধরণের।
জারবেরা বিদেশী ফুল হলেও ইতোমধ্যে ফুলটি দেশের ফুল চাষিদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। একই ফুল চায়না ও ভারতে উৎপাদন হলেও দেশে উৎপাদিত জারবেরা গুণগতভাবে এগিয়ে বলে জানান ফুল ব্যবসায়ীরা। ফুলটি দেশে অধিকহারে উৎপাদন হওয়ায় আগে ৫০ থেকে ১০০ টাকায় ক্রেতাদের কিনতে হলেও এখন সেই ফুলটি ১৫ থেকে ২০ টাকায় পাচ্ছেন।
চায়না লিলি, প্লামেনিয়া, গ্লাডিওলাস, অর্কিড, কসমস ও সহজে মিলছে দেশের ফুল বাজারে।
রাজধানী ফ্লাওয়ার্সের ফুল ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, ভারত ও চীন থেকে কয়েক জাতের গোলাপ দেশে আমদানি হয়।
এছাড়া সম্প্রতি সময়ে চায়না লিলিও আমদানি শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আমদানি করা ফুল গুলোর দাম তুলনামূলক বেশি। এসব বিদেশি ফুল যদি দেশে উৎপাদন করা সম্ভব হয় তাহলে ক্রেতারা অনেক কম দামে কিনতে পারবেন।
ঢাকা ফ্লাওয়ার কল্যাণ সমিতি লিমিটেডের সভাপতি বাবুল প্রসাদ বলেন, বিভিন্ন জাতের গোলাপ, চায়না লিলি, কসমস সহ বেশ কিছু জাতের ফুল থাইল্যান্ড, ভারত ও চীন থেকে আমদানি করা হয়। জারবেরাও একসময় ওইসব দেশ থেকে আমদানি করা হতো। এখন ফুলটি বাংলাদেশ ভালোভাবে উৎপাদন হচ্ছে। গুণগত মানও অন্যান্য দেশের ফুলের চেয়ে ভালো। আশা করছি চায়না লিলি সহ বিদেশ থেকে আমদানি করা ফুলগুলো দেশে উৎপাদনের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এসব ফুল দেশে উৎপাদন হলে ক্রেতারা অনেক কম দামে নিতে পারবেন। সেই সাথে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি দেশ ও অনেক লাভবান হবে।