২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদ্ধতি নির্ধারণে বছরব্যাপী গবেষণা দরকার 

-

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বছরব্যাপী গবেষণা ও কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। এর পাশাপাশি নাগরিকদের আরো সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু-চিকনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জরুরীভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদী কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা।

আজ মঙ্গলবার পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) উদ্দ্যোগে পবা’র সেমিনার কক্ষে “ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদ্ধতি নির্ধারণে গবেষণার গুরুত্ব” শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. মো. আবদুস সোবহান। পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি: জেনারেল মোঃ মোমিনুর রহমান মামুন, পবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা: লেলিন চৌধুরী, প্রতিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক গবেষক পাভেল পার্থ, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক রুনু আলী, বস্তিবাসী আন্দোলন সংগঠক হোসনে আরা বেগম, বিসিএইচআরডি চেয়ারম্যান মাহাবুব হক ও মো: মমতাজুর রহমান মোহন, বাংলাদেশ গ্রিণ রুফ মুভমেন্ট সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. মো: গোলাম হায়দার, কবি কামরুজ্জামান ভ’ইয়া, হিলের সভাপতি জেবুন নেসা, পবা সদস্য রাজিয়া সামাদ ও সাবিনা নাঈম সভায় বক্তব্য রাখেন।

ব্রি: জেনারেল মোঃ মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, কোনোভাবেই মশা মারতে গিয়ে পরিবেশের কোনো ক্ষতি করতে চাই না। তবে আমরা যেসব কীটনাশক ব্যবহার করছি বা অন্যান্য যেসব নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হচ্ছে তা পরিবেশের ক্ষেত্রে কী প্রভাব ফেলছে তা আমাদের গবেষণা করতে হবে। মেট্রোরেল, বৃহৎ স্থাপনা, নির্মানাধীন ভবন, চিড়িয়াখানাসহ মানুষের বাসাবাড়িতেও এডিস মশা পাওয়া গেছে। আমাদের ঘর থেকে বৃহৎ স্থাপনা সব মশামুক্ত করতে হলে সবাইকে একসাথে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে আগাতে হবে। নাগরিকদের আরো সচেতন হতে হবে। আমরা প্রতিটি স্কুলে স্কুল সচেতনতা কাজ শুরু করেছি। আমরা চাই সকল নাগরিক ও সকল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বছরব্যাপি ডেঙ্গু নির্মূল কর্মসূচি।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, মশা তার জীবনচক্রে ১ মাসের মধ্যে যাতে ভাইরাস বহন করতে না পারে সে লক্ষে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। সেপ্টেম্বরের পর মশা কমে আসবে। তাই সেপ্টেম্বর মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বে আবহাওয়া যেভাবে উষ্ণ হচ্ছে, বৃষ্টি মৌসুম যেভাবে পরিবর্তন হচ্ছে তার সঙ্গে এডিস মশাসহ নানা ধরনের কীটপতঙ্গ বেড়ে যাওয়ার একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার কারণে উষ্ণমন্ডলীয় এবং অ-উষ্ণমন্ডলীয় যেসব পোকামাকড়, তাদের প্রাদুর্ভাব ধীরে ধীরে বাড়ছে। গরমের সময়টা যদি দীর্ঘ হয়, তাহলে মশা বা কীটের জীবনকালে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। প্রজননকাল তত দীর্ঘ হচ্ছে।

তারা বলেন, ঘরের বারান্দা, আঙ্গিনা বা ছাদ পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে পানি পাঁচ দিনের বেশি জমে না থাকে। এসি বা ফ্রিজের নিচেও যেন পানি না থাকে, তাও নিশ্চিত করতে হবে। বারান্দা ও ঘরের টব, ছাদের বাগানের পাত্র, পুরানো টায়ার, যেকোন পরিত্যক্ত পাত্রে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মশাটি দিনের বেলা কামড়ায়, তাই দিনের বেলা ঘুমালে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। মশা যেন ডিম পাড়ার সুযোগ না পায় তা খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি বক্তরা সিটি করপোরেশনের করণীয় হিসেবে বলেন- বাড়ি-ঘরের পাশাপাশি রাস্তা ও ফুটপাত এবং ডাষ্টবিনে পড়ে থাকা ডাবের খোসা ও বিভিন্ন ধরনের পাত্রে জমা পানিতে এ মশা বংশবিস্তার করে।

এছাড়া রাস্তা ও ফুটপাতে জমা পানিতেও এ মশা বংশবিস্তার করে। রাস্তা, ফুটপাত ও ডাষ্টবিনে পড়ে থাকা আবর্জনা নিয়মিতভাবে পরিস্কার করতে হবে এবং ফুটপাত ও রাস্তায় যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এডিসসহ সব ধরনের মশার বংশ বিস্তার রোধ করতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন চৌগাছায় বাসচাপায় হেলপার নিহত ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন যারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিজ দেশে ৫ বছর পর ফিরল দিপক চট্টগ্রামে ৬ কিশোর গ্যাংয়ের ৩৩ সদস্য আটক শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগঠন মজবুত করতে হবে : শামসুল ইসলাম ইউরো ২০২৪’কে সামনে রেখে দল নির্বাচনে বিপাকে সাউথগেট ভারতীয় পণ্য বর্জনকে যে কারণে ন্যায়সঙ্গত বললেন রিজভী মাকে ভরণ-পোষণ না দেয়ায় শিক্ষক ছেলে গ্রেফতার প্রথম বাংলাদেশী আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত

সকল