২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ক্ষমতা কমছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের!

ক্ষমতা কমছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের! - সংগৃহীত

লেবাননের হিজবুল্লাহ মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, আগের মতো যখন খুশি যুদ্ধ শুরু করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে আমেরিকা ও ইসরাইল।

২০০৬ সালের ৩৩ দিনের যুদ্ধে হিজবুল্লাহর কাছে ইসরাইলের পরাজয়ের ১২তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।  সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ বলেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে আরেকটি যুদ্ধ করতে হিজবুল্লাহ মোটেই ভীত নয়।

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কেউ যেন আমাদেরকে যুদ্ধের হুমকি দিয়ে ভয় না দেখায়। আমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছি এবং যুদ্ধ বাঁধলে আমরাই বিজয়ী হবো।

হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, যুদ্ধাস্ত্র, যোদ্ধা, সাহস ও আত্মবিশ্বাসের দিক দিয়ে তার সংগঠন অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অধিকতর প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে।

গত মার্চ মাসে ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জ্যাকব বারাক বলেছিলেন, লেবাননের বিরুদ্ধে ভবিষ্যত যুদ্ধে নাসরুল্লাহকে হত্যা করতে পারলে তা হবে তেল আবিবের জন্য ‘বড় বিজয়’।

সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ ফিলিস্তিন বিষয়ক আমেরিকার ‘শতাব্দির সেরা চুক্তি’ নামক পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি একটি ন্যক্কারজনক পরিকল্পনা এবং আমেরিকার পক্ষ থেকে অতীতের উত্থাপিত পরিকল্পনাগুলোর মতো এটিও ব্যর্থ হবে।

আমেরিকাই আলোচনার সব পথ বন্ধ করেছে: রুহানি

ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি আবারো আমেরিকার আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করেছেন। তিনি বলেছেন, পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে ‌আমেরিকা নিজেই আলোচনার সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট রুহানি বুধবার ইরানের মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরো বলেন, ইরান বর্তমানে সারা বিশ্বের সাথে আলোচনা করছে। তিনি বলেন, আমেরিকা এমনসব কাজ করেছে যার ফলে আলোচনার সমস্ত পরিবেশ ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা নিজেরাই আলোচনার সেঁতু পুড়িয়ে দিয়েছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, সেঁতু পুড়িয়ে দিয়ে আমেরিকা এখন অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যদি তারা সৎ হয় তাহলে তারাই আবার সেই সেঁতু নির্মাণ করুক।

গত ৮ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন। তবে ৩০ জুলাই তিনি আবার বলেছেন, ইরানের সাথে আলোচনা করতে তিনি প্রস্তুত রয়েছেন। তার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনী বলেছেন, আমেরিকার সাথে ইরান যুদ্ধ করবে না, আলোচনাও করবে না। তিনি আমেরিকাকে ‘প্রতারক’ বলে মন্তব্য করেন।

ইরানকে পরাজিত করার বাসনা শত্রুকে কবরে নিয়ে যেতে হবে: রুহানি

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, তার দেশকে পরাজিত করার বাসনা শত্রুকে কবর পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে; জীবদ্দশায় এ আশা পূর্ণ হবে না। তিনি বুধবার তেহরানে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন।

প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, শত্রু  ইরানের ওপর অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে এদেশের জনগণকে কষ্ট দিতে চায়। কিন্তু ইরানের সরকার ও জনগণ নিজেদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বজায় রেখে শত্রুর সে পরিকল্পনা বানচাল করে দেবে।

তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, অন্যায়, অবৈধ ও নির্দয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইরানি জাতিকে পরাজিত করা যাবে না।

ইরান সারাবিশ্বের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রেসিডেন্ট রুহানি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব সম্পর্কে তিনি বলেন, মার্কিন সরকার সাম্প্রতিক সময়ে নেয়া পদক্ষেপের মাধ্যমে আলোচনার পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছে।

ইরাক, সিরিয়া, লেবানন এবং এমনকি উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে গত কয়েক বছরের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ভালো নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ইয়েমেনেও শিগগিরই নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং আগ্রাসীরা এ সত্য উপলব্ধি করবে যে, যুদ্ধ ও সহিংসতার মাধ্যমে নয় বরং সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়।

তিনি কাস্পিয়ান সাগরের সম্পদ বন্টনের ব্যাপারে সম্প্রতি এর উপকূলবর্তী দেশগুলোর মধ্যে সই হওয়া কনভেনশনের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই কনভেনশনের মাধ্যমে কাস্পিয়ান সাগরে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে এই সাগরে আমেরিকা ও ন্যাটো জোটের উপস্থিতির ষড়যন্ত্র বানচাল হয়ে গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement