১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ইসরাইলের সাথে ন্যাটোর সহযোগিতার চেষ্টাকে সমর্থন করবে না তুরস্ক

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান - ছবি : সংগৃহীত

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান শুক্রবার বলেছেন, ইসরাইলি প্রশাসনের সাথে ন্যাটোর অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়।

ওয়াশিংটনে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, 'ফিলিস্তিনে ব্যাপকভিত্তিক, টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ন্যাটোর মধ্যে ইসরাইলের সাথে সহযোগিতাকে অনুমোদন করবে না তুরস্ক।'

তিনি আরো বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তিতে তুরস্ক তার কূটনৈতিক প্রয়াস অব্যাহত রাখবে।

এরদোগান বলেন, সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা শুরু করার জন্য সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সাথে সাক্ষাত করার জন্য তিনি তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

তুরস্কের কাছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রি প্রসঙ্গে এরদোগান বলেন, 'আমি মি. বাইডেনের সাথে কথা বলেছি। আমি ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করব।'

ভূমধ্যসাগর উপকূলে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় শহর বানিয়াসের কাছে মঙ্গলবার ইসরাইলি হামলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে,‘আনুমানিক রাত ১২টা২০ মিনিটে (২১২০ জিএমটি) বানিয়াস শহরের কাছে একটি সাইট লক্ষ্য করে ইসরাইল ভূমধ্যসাগরের দিক থেকে বিমান হামলা শুরু করে।’ সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে,এ বছর বানিয়াস এলাকায় এটি তৃতীয় হামলা।

ব্রিটিশ ভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক বলেছে,‘দুটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র অন্তত দুটি ভবনকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যার মধ্যে একটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যাটালিয়নের ছিল’।

এতে বলা হয়, ইরানের সামরিক উপদেষ্টারা ওই এলাকায় অবস্থান করছেন, যা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের শক্ত ঘাঁটি।

মে মাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় বলেছিল, বানিয়াসে ইসরাইলি বিমান হামলায় একটি মেয়ে নিহত এবং আরও ১০ জন বেসামরিক লোক আহত হয়েছে।

২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রধানত লেবাননের হিজবুল্লাহসহ সেনাবাহিনীর অবস্থান এবং ইরান-সমর্থিত যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে ইসরাইল শত শত হামলা চালিয়েছে।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের সূত্রপাত হওয়ার পর থেকে হামলা আরো তীব্র হয়েছে।

ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ খুব কমই ব্যক্তিগত হামলার বিষয়ে মন্তব্য করে,কিন্তু বারবার বলেছে তারা চিরশত্রু ইরানকে সিরিয়ায় তাদের উপস্থিতি বাড়াতে দেবে না।
সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট ও এএফপি


আরো সংবাদ



premium cement