গাজার ৩২ ভাগ দখল করেছে ইসরাইল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ জুন ২০২৪, ১৫:৫৪
গাজা উপত্যকার ৩২ ভাগ ইসরাইল দখল করে নিয়েছে। আল-জাজিরা এক তদন্ত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
আল-জাজিরার সানাদ ভেরিফিকেশন এজেন্সি অনুসারে, একটি বাফার জোন ও একটি কেন্দ্রীয় অক্ষ তৈরি করার জন্য ইসরাইল ‘পরিকল্পিতভাবে প্রতিবেশী এলাকাগুলো ধ্বংস করে’ গাজার প্রায় ৩২ শতাংশ এলাকা দখল করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ৩২ শতাংশের ভেতরে মিশরের সীমান্তে ফিলাডেলফি করিডোরের এলাকা অন্তর্ভুক্ত নয়। যে এলাকাটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে ইসরাইল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে।
এই এলাকাগুলো দ্রুততার সাথে বিমান হামলা, কামান হামলা ও বুলডোজারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার পর ধীরে ধীরে ইসরাইল সেটি দখলে নিয়েছে।
এদিকে গাজায় জাতিসঙ্ঘের মানবিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল ও জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন, ‘গাজায় কোনো নিরাপদ স্থান নেই’ এবং মর্যাদাপূর্ণ মানব জীবন সেখানে ‘প্রায় অসম্ভব’।
গ্রিফিথস আরো বলেছেন, ‘এমনকি মানুষ বাড়ি ফিরতে পারলেও, অনেকের আর যাওয়ার যায়গা নেই।’
জাতিসঙ্ঘের মতে, গাজার জনসংখ্যার প্রায় ৮৫ শতাংশ বা ১ দশমিক ৯ মিলিয়ন মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এদের মধ্যে অর্ধেক শুধু চলতি মাসেই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
১৯৪৮ সালে নাকবার সময়, ইসরাইল রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরি করার জন্য ইহুদিবাদী গ্যাং দ্বারা প্রায় ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়িঘর এবং গ্রাম থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরাইলিকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে বন্দী করে। এখনো হামাসের কাছে ১২১ জন বন্দী হিসেবে আটক রয়েছে।
এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরাইল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনো চলছে। গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৬ হাজার ৩৭৯ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
সূত্র : আল-জাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা