হেলিকপ্টারের সন্ধান পাওয়ার পর চাঁদ-তারা এঁকেছিল তুর্কি ড্রোন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ মে ২০২৪, ১৯:০১
বার্তাসংস্থা আনাদোলু অ্যাজেন্সি জানিয়েছে, কয়েক ঘন্টা খোঁজাখুঁজির পর ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টারের সন্ধান পায় তুরস্ক থেকে পাঠানো ড্রোন।
ড্রোনটির নাম বায়রাকতার আকিঞ্জি। এর আগে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য আলোচনায় আসে এই সিরিজেরই আরেকটি মডেল বায়রাকতার টিবিটু।
সোমবার ভোরে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার এলাকায় একটি ‘হিট সোর্স’ (উত্তপ্ত স্থান) শনাক্ত করে ড্রোন আকিঞ্জি।
পরে সেখানেই ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়।
বহু মানুষ ফ্লাইট রাডার অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ড্রোনটির গতিপথে চোখ রাখছিল বলে জানায় আনাদোলু অ্যাজেন্সি।
তারা একটি কৌতূহলোদ্দীপক দৃশ্য দেখে থাকবেন। ইরান থেকে তুরস্কের ঘাঁটিতে ফেরার পথে ফ্লাইট ম্যাপে নিজের গতিপথ ব্যবহার করে চাঁদ ও তারা আঁকে বায়রাকতার আকিঞ্জি।
তুরস্কের জাতীয় পতাকায় চাঁদা ও তারা প্রতীক রয়েছে।
বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার থেকে লাশ উদ্ধার করে নেয়া হবে তাবরিজে
ঘন কুয়াশার কারণে রোববার রাতে উদ্ধার তৎপরতা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। তবে আলো ফোটার সাথে সাথে উদ্ধারকাজে গতি বাড়ে।
তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু অ্যাজেন্সি জানায়, প্রথমে তুরস্কের বায়রাকতার আকিঞ্জি ড্রোন অবস্থান শনাক্ত করে। সেখানকার অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ ইরানি কর্তৃপক্ষকে জানায় তারা। পরে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
রেড ক্রিসেন্ট সদস্য ও অন্যদের ধারণ করা বিভিন্ন ভিডিও প্রকাশ করে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
তাতে দেখা যায়, স্ট্রেচারে করে লাশ বয়ে নিয়ে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকরা। কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়ি অসমতল পথে তাদেরকে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল।
ইরানের বিপ্লবী গার্ডসের ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম তাসনিম জানায়, সবগুলো লাশই তাবরিজে নিয়ে যাওয়া হবে। দাফনের আগ পর্যন্ত সেখানকার ফরেনসিক বিভাগেই থাকবে লাশ।
প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং তার সহচরদের গন্তব্যই ছিল তাবরিজ শহর।
আরেকটিতে ভিডিওতে, হেলিকপ্টারের একটি দরজা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। দরজায় লেখা ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান। সেখানে সমবেত হয়েছে অনেকে। পোশাক দেখে যাদের সেনা সদস্য বলেই মনে হয়।
অন্য এক ভিডিওতে দেখা যায়, পাহাড়ের পাদদেশে জড়ো হয়েছে ইরানের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা।
সূত্র : বিবিসি