১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : হামাসের গভীর দুঃখ প্রকাশ

রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : হামাসের গভীর দুঃখ প্রকাশ - সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসলামি জিহাদ আলাদা আলাদা বিবৃতিতে ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার ব্যাপারে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে।

হামাসের পক্ষে থেকে ইরানের সরকার ও জনগণের পাশাপাশি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে।

হামাস বলেছে, তারা উদ্ধার তৎপরতার প্রতি গভীর নজর রাখছে। ইসলামি জিহাদ আন্দোলনও ইরানি জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেছে, তারা প্রেসিডেন্ট ও তার সহযাত্রীদের নিরাপত্তা কামনা করে দোয়া করছে।

কী হয়েছিল?
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির সাথে একই হেলিকপ্টারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আব্দুল্লাহিয়ান ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও ছিলেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, এই হেলিকপ্টারে পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতিও ছিলেন।

আজারবাইজান সীমান্তে ইরানের উত্তরাঞ্চলে রোববার পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে ঠিক কী কারণে এবং কী ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি।

ইরানের খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মীদের পাঠানো হয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা চলছে। তবে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া এবং দুর্গম এলাকা হওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজনে একটি বাধের উদ্ধোধন করতে গিয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। সেখান থেকে ফেরার পথে দেশটির উত্তরাঞ্চলের পাবর্ত্য এলাকায় বিমানটি বিপজ্জনক অবতরণ করতে বাধ্য হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার রোববার ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ বা বিপজ্জনকভাবে অবতরণ করেছে।

ঘটনার পর অন্তত ৪০টি উদ্ধারকারী দল এবং ড্রোন পাঠানো হয়েছে।

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘মহামান্য প্রেসিডেন্ট এবং তার সঙ্গীরা বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টারে করে দেশে ফিরছিলেন। পথে খারাপ আবহাওয়া এবং কুয়াশার কারণে একটি হেলিকপ্টার হার্ড ল্যান্ডিং করতে বাধ্য হয়।’
সূত্র : রয়টার্স


আরো সংবাদ



premium cement