১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রাফায় ইসরাইলি হামলা, সরে যেতে বাধ্য হয়েছে ৮ লাখ ফিলিস্তিনি

রাফায় ইসরাইলি হামলা, সরে যেতে বাধ্য হয়েছে ৮ লাখ ফিলিস্তিনি - ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনি শরনার্থীদের জন্য জাতিসঙ্ঘ দফতরের (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান শনিবার জানিয়েছেন যে দু সপ্তাহ আগে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফায় স্থল আক্রমণ শুরুর পর আনুমানিক আট লাখ লোক ওই স্থান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএ’র প্রধান ফিলিপে লাজারিনি সামাজিক মাধ্যম এক্সে লিখেছেন যে আগেই বাস্তুচ্যূত অসামরিক লোকজন রাফা ত্যাগ করছেন এবং 'ভাঙা ভবনগুলোসহ মধ্যবর্তী এলাকা ও খান ইউনিসের দিকে' চলে যাচ্ছেন।

লাজারিনি বলেন, লোকজন যে দিকে পালিয়ে যাচ্ছেন সেখানে পানির অভাব রয়েছে এবং যথেষ্ট পয়ঃব্যবস্থাও নেই। এই জায়গাগুলোর মধ্যে রয়েছে উপকূলীয় শহর আল মাওয়াসি এবং দেইর আল বালাহ শহ,র যেটি সাম্প্রতিক সময়ে বাস্তুচ্যুত মানুষে পরিপূর্ণ।

ইসরাইলের ঘনিষ্ঠতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্র রাফায় সামরিক অভিযান সম্প্রসারিত করার বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে। এই অভিযান শুরুর আগে থেকেই সেখানে ১৪ লাখ বেসামরিক ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়ে আছে।

ওই অঞ্চলে এএফপি সংবাদদাতাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আক্রমণে ইসরাইল কিছু অঞ্চল দখল করেছে এবং শনিবার রাফায় প্রচণ্ড সংঘাত এবং ভূমি ও আকাশ থেকে বোমা বর্ষণ গোটা এলাকা কেঁপে উঠেছে।

শনিবার ইসরাইলি সেনা এবং ট্যাংক জাবালিয়ায় প্রবেশ করে । গাজার আটটি শরণার্থী শিবিরের মধ্যে বৃহত্তম শিবির সেখানেই অবস্থিতি। সেখানে ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন এবং আরো কয়েক ডজন আহত হন।

গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক জরুরি পরিষবোর মতে তারা সম্ভাব্য হতাহতের বিষয়ে অনেক টেলিফোন পাচ্ছিল। কিন্তু স্থল ও বিমান আক্রমণের জন্য তারা ওই সব টেলিফোনে সাড়া দিতে পারেনি।

ইসরাইলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, 'গাজা ভূখন্ডে ইসরাইলি বিমান বাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে এবং গতকাল থেকে তারা ৭০টি লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হেনেছে, যার মধ্যে তাদের অস্ত্রাগার, সামরিক অবকাঠামোর স্থান।

সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা

 


আরো সংবাদ



premium cement