১২ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি : যেখানে আপত্তি ইসরাইলের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ মে ২০২৪, ১৪:২৯
গাজায় ১২ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হচ্ছে না ইসরাইল। আর গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসও এ থেকে সরে আসতে চাচ্ছে না। মিসরে সদ্য সমাপ্ত যুদ্ধবিরতি আলোচনায় এই বিষয়টি নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে হামাস রাজি থাকা সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি বলে সিএনএন জানিয়েছে। সিএনএন আলোচনার সাথে সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্রের উদ্ধতি দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
চুক্তিতে একমত না হয়েই হামাস ও ইসরাইলি প্রতিনিধিদল মিসর ত্যাগ করেছে। হামাস জানিয়েছে, ইসরাইল 'বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে প্রস্তাবটির বিরোধিতা করছে।' গ্রুপটি অবশ্য এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
এর আগের রাউন্ডের আলোচনায় হামাস প্রাথমিক ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হয়েছিল। ওই প্রস্তাবে দ্বিতীয় দফায় আরো ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। ফলে টানা ১২ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়ে যায়।
ইসরাইলি কর্মকর্তারা ১২ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির বিরোধী। তারা যুক্তি দেখাচ্ছে যে ১২ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়া মানে কার্যত যুদ্ধের সমাপ্তি। এছাড়া তারা রাফায় হামলা অব্যাহত রাখারও পক্ষপাতী।
গাজায় ইসরাইলের হামলা অব্যাহত
যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতাকারীরা একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত না করেই আলোচনা ছেড়ে দেয়ার পর ইসরাইল শুক্রবার গাজা উপত্যকায় নতুন করে হামলা শুরু করেছে।
শুক্রবার ভোরে গাজা উপত্যকায় এএফপি’র সাংবাদিকরা মিসরের সাথে ভূখণ্ডের দক্ষিণ সীমান্তে রাফাতে আর্টিলারি হামলা প্রত্যক্ষ করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা উত্তরে গাজা নগরীতে আরও বিমান হামলা ও লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন।
মিসরীয় গোয়েন্দা-সংশ্লিষ্ট ‘আল-কাহেরা নিউজ’ জানায়, গাজা যুদ্ধবিরতির শর্তে পরোক্ষ আলোচনার মিসরীয় আয়োজকরা ‘দুই দিনের রাউন্ড’ হিসেবে বর্ণনা করার পর ইসরাইলি ও হামাসের আলোচনাকারী দলগুলো বৃহস্পতিবার কায়রো ছেড়েছে।
গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রক ৭ অক্টোবর ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটানো হামাস বলেছে তাদের প্রতিনিধিদল ফিলিস্তিনি হামাসের রাজনৈতিক নেতৃত্বের আবাসস্থল কাতারে চলে গেছে। তারা জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারীদের উন্থাপিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। তারা বলেছে, একটি ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতি’র’ লক্ষ্যে চুক্তিতে গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার, যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তন ও ইসরাইলে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক বন্দীদের মুক্তির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
একই সময়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় প্রস্তাবটিকে ‘ইসরাইলের মূল দাবি থেকে অনেক দূরে’ বলে উল্লেখ করে। তবে সরকার এখনো কায়রোতে আলোচকদের পাঠাবে বলে জানিয়েছে।
ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ধারণার বিরোধিতা করে আসছে। তারা জোর দিয়ে বলেছে, অবশ্যই হামাসকে নির্মূল করার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
সূত্র : আল জাজিরা এবং এএফপি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা