১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিরিয়া থেকে পরিবারসহ ইরাকে ফিরেছে ৫০ আইএস সদস্য

- ছবি - ইন্টারনেট

ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের ৫০ সদস্য এবং তাদের পরিবারের ১৬৮ সদস্যকে শনিবার সিরিয়া থেকে ইরাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। একজন ইরাকি কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, ইরাকি কর্তৃপক্ষ সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) কাছ থেকে ইসলামিক স্টেটের ৫০ জন সদস্যকে গ্রহণ করেছে। খবর এএফপি’র।

এসডিএফ কার্যত এই এলাকায় কুর্দিদের সেনাবাহিনী এবং তারা ২০১৯ সালে তাদের সিরিয়ার ভূখণ্ডের শেষাংশ থেকে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ যোদ্ধাদের বিতাড়িত করার যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে।

কর্মকর্তারা আরো জানান, ‘তাদের ব্যাপারে তদন্ত করা হবে এবং তারা ইরাক বিচারের মুখোমুখি হবে।’

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার হাসাকেহে থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।

ইরাকি কর্মকর্তা আরো বলেন, আইএস-গ্রুপ সদস্যদের ১৬৮ জন আত্মীয়কে সিরিয়ার আল-হল ক্যাম্প থেকে ইরাকের মসুলের দক্ষিণে আল-জাদা ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, সেখানে তাদের মানসিক চিকিৎসা দেয়া হবে।

তারা বলেন, ‘আমরা তাদের উপজাতি নেতাদের কাছ থেকে প্রতিশোধের মুখোমুখি না হওয়ার আশ্বাস পেলে তাদের বাড়িতে পাঠানো হবে।’

কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার আল-হোল ক্যাম্পে সন্দেহভাজন আইএস ও পরিবারের সদস্যসহ প্রায় ৫০ হাজার লোক বসবাস করে।

তাদের মধ্যে বাস্তুচ্যুত সিরিয়ান, ইরাকি উদ্বাস্তু এবং সেইসাথে প্রায় ৬০টি দেশের ১০ হাজারের বেশি বিদেশী রয়েছে।

মার্চ মাসে, জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আল-হোলে আটক বিদেশীদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের আহ্বান জানান। ইরাক সফরের সময় একটি বিবৃতিতে গুতেরেস বলেন, ‘শিবিরের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক ১২ বছরের কম বয়সী এবং বাসিন্দারা ‘তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত, দুর্বল এবং প্রান্তিক।’

গুতেরেস বলেন, আমার বলতে দ্বিধা নেই যে আজকের বিশ্বে বিদ্যমান সবচেয়ে খারাপ শিবিরটি হলো আল-হোল, যেখানে মানুষের জন্য সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এবং সেখানে আটকে থাকা লোকরা বছরের পর বছর ধরে চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে।’

২০২১ সালের মে থেকে, শত শত পরিবারকে আল-হোল থেকে ইরাকের আল-জাদাতে স্থানান্তরিত করা হয়েছ, যাদের অনেকে পালিয়ে যাচ্ছিল।

২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ইরাকের এক-তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণকারী অতি-উগ্রবাদী গোষ্ঠীতে যোগদানকারী যোদ্ধাদের আত্মীয়দের ইরাকে প্রত্যাবাসন নিয়ে বিরোধিতাও রয়েছে।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে ইরাকি কর্তৃপক্ষ আল-জাদা বন্ধ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement