২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ইসরাইল

পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ইসরাইল - ছবি : সংগৃহীত

ইসরাইলি পার্লামেন্ট মঙ্গলবার ২০০৫ সালের একটি আইন সংশোধনের মাধ্যমে অধিকৃত পশ্চিম তীরের চারটি বসতিতে ইহুদিদের ফিরে আসার পথ প্রশস্ত করেছে। ওই আইনের বলে তাদের ওই বসতিগুলো খালি করার জন্য আদেশ দেয়া হয়েছিল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিন্দায় পরও এই পদক্ষেপ নেয়া হয়।

পূর্ববর্তী আইনের কিছু ধারা বাতিলের ফলে ইহুদি অধিবাসীরা পশ্চিম তীরের চারটি বসতিতে ফিরে যেতে পারবে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর অনুমোদনের শর্তে, ২০০৫ সালে বসতিগুলো খালি করার আদেশ দেয়া হয়েছিল।

ইসরাইলি পার্লামেন্টের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ডিফেন্স কমিটির প্রধান ইউলি এডেলস্টাইন এই উদ্যোগকে ‘প্রকৃত পুনরুদ্ধার এবং ইসরাইলের মালিকানার ভূখণ্ডগুলোতে ইসরাইলকে প্রতিষ্ঠা করার প্রথম ও তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর থেকে ইসরাইল ওইসব ভূখণ্ডে অন্তত ১৪০টি বসতি গড়ে তোলে, যে ভুখণ্ডকে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যত রাষ্ট্রের মূল ভূমি হিসেবে বিবেচনা করে। ওই ভূখণ্ডে এখন ৫ লাখের বেশি বসতি স্থাপনকারীর বাস। অনুমোদিত বসতি ছাড়াও, বসতি স্থাপনকারীদের বিভিন্ন দল সরকারের অনুমতি ছাড়াই অসংখ্য স্থাপনা তৈরি করেছে।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরাইল যেসব এলাকা দখল করে নিয়েছিল, সেখানে নির্মিত বসতিগুলোকে বেশিরভাগ বিশ্ব শক্তি আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ বলে মনে করে। এগুলোকে তারা ভভিষ্যত রাষ্টের জন্য ফিলিস্তিনিদের দাবিকরা ভূমি দখল, তাদের সম্প্রসারণবাদীতা এবং শান্তির পথে বাধা হিসেবে বিবেচনা করে।

ইসরাইলি পার্লামেন্টে এই ভোট প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কট্টর ডানপন্থী জোটের প্রথম বড় পদক্ষেপ। আর এই ভোট অনুষ্ঠিত হলো ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে সহিংসতা ও উস্কানি রোধে পদক্ষেপ নিতে সম্মত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সাথে সাথেই এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদাইনেহ রয়টার্সকে বলেন, ‘এটি একটি নিন্দিত ও প্রত্যাখ্যাত সিদ্ধান্ত এবং এটি আন্তর্জাতিক সকল প্রস্তাবের বৈধতার পরিপন্থী।’

মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নিন্দা করে বলেছে, নেসেটের এই সিদ্ধান্ত ‘উত্তেজনা প্রশমন প্রচেষ্টার পরিপন্থী’ এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধান ছেড়ে ‘স্পষ্ট পশ্চাদমুখী পদক্ষেপ’।

এক বিবৃতিতে ইইউ'র এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা ইসরাইলকে এই আইন প্রত্যাহার এবং এমন পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যা ইতোমধ্যে অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি প্রশমনে অবদান রাখবে।’
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement