২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এবার মিসরের সাথে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চায় ইরান

মিসরের প্রেসিডেন্ট সিসি - ছবি : সংগৃহীত

এবার মিসরের সাথে সম্পর্ক উন্নত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসির কানানি সোমবার এই মন্তব্য করেছেন। চীনের মধ্যস্ততায় ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ইরানের পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য এলো।

কানানি সাংবাদিকদের বলেন, এই অঞ্চলে মিসর একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। ইরান ও মিসরের মধ্যে সহযোগিতার দরকার এই অঞ্চলের। আমরা আমাদের সম্পর্ক উন্নত করতে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণের চিন্তা করছি।

তিনি বলেন যে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসাইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি গত বছরের শেষ দিকে জর্ডানের আয়োজিত বাগদাদ ২ শীর্ষ সম্মেলনে 'দ্রুত ও ইতিবাচক' বৈঠক করেছিলেন।

এ ব্যাপারে মিসরেরর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া না গেলেও রিয়াদ ও তেহরানের সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে স্বাগত জানিয়েছে কায়রো।

এদিকে সোমবার সৌদি-মালিকানা আশরার্ক আল-আওসাত মিসরীয় একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে কায়রো ও তেহরানের মধ্যকার যোগাযোগ চ্যানেলটি বন্ধ হয়নি।

১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইরান ও মিসরের মধ্যকার সম্পর্কে অবনতি হয়। এর মূল কারণ ছিল মিসর হলো সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ মিত্র। তারপর ইরানের নির্বাসনে থাকা শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভিকে মিসরে আশ্রয় দেয়া হলে সম্পর্কের আরেক দফা অবনতি হয়। শাহ ১৯৮০ সালে সেখানেই মারা যান। তাকে মিসরেই সমাহিত করা হয়।

এরপর মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদতকে হত্যাকারী খালেদ আল-ইসলামবুলির নামে তেহরানের একটি রাস্তার নামকরণ হলে উত্তেজনা আরো বাড়ে। আর কিছু দিন আগেও ইরাক, সিরিয়া, লেবানন ও ইয়েমেনের মতো আরব দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়াদিতে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ এনে ইরানের সমালোচনা করে মিসর।

তেহরানে মিসরের মিশনের প্রধান হলেন চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স। আর কায়রোয় ইরানি দূতাবাসের প্রধান হলেন রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের কূটনীতিক।

সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর

 


আরো সংবাদ



premium cement