২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইরাক যুদ্ধে কলকাঠি নাড়ানো ব্যক্তিরা এখন কে কোথায়

- ছবি - বিবিসি

ইরাক যুদ্ধ যখন শুরু হয়েছিল, তখন বিশ্বের মানুষ হয়ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট আর ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে সবচেয়ে বেশি নাম শুনেছেন। কিন্তু সেই যুদ্ধের পেছনে ভূমিকা ছিল আরো অনেক ব্যক্তির।

ইরাক যুদ্ধে সাড়ে চার হাজারের বেশি মার্কিন সেনা আর আনুমানিক এক লাখ ২০ হাজার ইরাকি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। ২০ বছর পার হলেও এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীলতা আসেনি ইরাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজের মতে, ‘ইরাক যুদ্ধে যারা উস্কানি দিয়েছেন। যারা মনে করেছিলেন, ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা দরকার, তারা ছিলেন ‘নিউ কনজারভেটিভ।’

সুইডেনের ভ্যারাইটিস অফ ডেমোক্রেসি ইন্সটিটিউটের ভিজিটিং প্রফেসর ড. রিয়াজ বলেন, ‘তাদের উত্থান হয়েছিল নব্বইয়ের দশক থেকে। তারা খুব জোরেশোরে চেষ্টা করছিলেন বিশ্বে নিজেদের একটা শক্তিমত্তা তুলে ধরার।’

তিনি আরো বলেন, ‘পরবর্তীতে রাজনৈতিকভাবে তারা এক অর্থে পরাজিত হয়েছে। তাদের আধিপত্য দেখানোর যে চিন্তাভাবনা, পরবর্তী পৃথিবীতে আর সেটা কাজ করেনি- না যুক্তরাষ্ট্রে, না বিশ্বে। পরবর্তীতে তারা নীতিনির্ধারণের অনেক বাইরে চলে গেছেন।’

ড. রিয়াজ আরো বলেন, ইরাক যুদ্ধে বিপর্যস্ত হওয়া, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ- ইত্যাদি তাদের কোনো সুবিধা দেয়নি। বরং রাজনৈতিকভাবে তাদের নানারকম সমস্যায় ফেলেছে।

ইরাক যুদ্ধের ২০ বছর পূর্তিতে বিবিসি জানার চেষ্টা করেছে, সেই যুদ্ধের পেছনে মূল ভূমিকা রাখা ব্যক্তিরা এখন কোথায় কেমন রয়েছে।

গণবিধ্বংসী অস্ত্র
ইরাক যুদ্ধের মাত্র দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই নাইন ইলেভেনের মুখোমুখি হতে হয় জর্জ ওয়াকার বুশ বা জর্জ ডব্লিউ বুশকে। সেই সময় মিত্র দেশগুলোর সাথে মিলে আফগানিস্তানে অভিযান চালিয়ে তালেবান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন বুশ।

এর প্রায় দেড় বছরের মাথায় তিনি ইরাকে অভিযান শুরু করেন।

তার আগে ২০০২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বুশ প্রশাসন নতুন জাতীয় নিরাপত্তা নীতি ঘোষণা করে, যেখানে বলা হয়, জৈবিক, রাসায়নিক বা পারমাণবিক অস্ত্র, গণ বিধ্বংসী অস্ত্রের অধিকারী কোনো সন্ত্রাসবাদী বা দুর্বৃত্ত দেশ দ্বারা যুক্তরাষ্ট্র যদি হুমকি মুখোমুখি হয়, তাহলে সেটা ঠেকানোর জন্য প্রয়োজনে সামরিক শক্তি ব্যবহার করবে।

দু’মাস পরেই যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ নতুন একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে, যেখানে অস্ত্র পরিদর্শকদের ইরাকে ফিরে যাওয়ার সুযোগ রাখা হয়। কিছুদিন পরেই যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করে, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা মানছে না ইরাক এবং তাদের ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র আছে।

অবশেষে মার্চের ১৭ তারিখে সাদ্দাম হোসেনকে পরিবার নিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইরাক ছাড়ার সময়সীমা বেধে দেন প্রেসিডেন্ট বুশ। ৪৮ ঘণ্টা পরেই শুরু হয় অপারেশন ইরাকি ফ্রিডম।

জর্জ ডব্লিউ বুশ
পরবর্তীতে ইরাকে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র না পাওয়া এবং ইরাক যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি হয়ে ওঠায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট বুশ।

ইরাক যুদ্ধ নিয়ে নানারকম বিতর্ক এবং সমালোচনা থাকার পরেও ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জন কেরিকে হারিয়ে ২০০৪ সালের নির্বাচনে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন বুশ।

তার মেয়াদ ২০০৯ সালে শেষ হওয়ার পর টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে ফিরে যান বুশ। সেখানে তিনি জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরি তৈরি করেছেন। সেখানে জর্জ ডব্লিউ বুশ পলিসি ইন্সটিটিউট এবং অফিস অফ দি জর্জ ডব্লিউ বুশ ফাউন্ডেশন রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকে প্রকাশ্যে খুব একটা আসেন না বুশ।

সাদ্দাম হোসেন
ইরাক যুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন স্যার অ্যান্টনি চার্লস লিনটন ব্লেয়ার, যিনি টনি ব্লেয়ার নামেই বেশি পরিচিত।

ইরাক যুদ্ধ নিয়ে পরবর্তীতে স্যার জন শিলকটের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০০২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর হাউজ অব কমন্সে টনি ব্লেয়ার ইরাকের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির সক্ষমতার যে প্রতিবেদন তুলে ধরেন, সেখানে তাদের সম্ভাব্য হুমকি হিসাবে তুলে ধরা হয়। ভবিষ্যতের কোনো একপর্যায়ে সেটা সত্যি হয়ে উঠতে পারে।’

শিলকট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে ইরাককে নিরস্ত্র করার পদক্ষেপ বিবেচনা না করেই ব্রিটেন ইরাকের সাথে যুদ্ধে জড়িয়েছে।

তবে ওই প্রতিবেদনের সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে পরে টনি ব্লেয়ার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কোনো অজুহাত না দিয়েই ইরাক যুদ্ধের পরিণতি তিনি মেনে নিয়েছেন।

কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন, সাদ্দাম হোসেনের কবল থেকে যেন ইরাকের জনগণ মুক্তি পায় এবং কোনোরকম জাতিগত সহিংসতার শিকার না হয়।

যুদ্ধে কিছু ভুলের জন্য দুঃখ, অনুশোচনা ও ক্ষমা চাইলেও তিনি মনে করেন, সাদ্দাম হোসেনকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।

যুদ্ধের পরেও আরো চার বছর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন টনি ব্লেয়ার। তিনি হলেন যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে এই পদে দায়িত্ব পালনকারী কোনো ব্যক্তি।

টনি ব্লেয়ারের বিদায়
ইরাক যুদ্ধে সরকারের নীতি নিয়ে নানারকম সমালোচনার পরেও তার নেতৃত্বে ২০০৫ সালের মে মাসের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে লেবার পার্টি।

তবে সেই সময় দলের ভেতর নানারকম সমালোচনা এবং বেশ কয়েকজন জুনিয়র মন্ত্রীর পদত্যাগের পর ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে ঘোষণা করেন, তিনি এক বছরের মধ্যেই পদত্যাগ করবেন।

অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, সেই সময় যারা মিত্র হিসেবে কাজ করেন, তাদের অনেকেই পরে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে রাজনৈতিকভাবে সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতার দিকে বেশি এগিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘তাদের গ্রহণযোগ্যতা কমেছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের এই ভূমিকার জন্য দলগুলো পরবর্তী নির্বাচনে বড় রকমের বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে গেছে।’

স্কটিশ পার্লামেন্টে ২০০৭ সালের মে মাসে বড় ধরনের পরাজয় এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে স্থানীয় জোটের কাছে ক্ষমতা হারানোর পর প্রধানমন্ত্রী পদ এবং হাউজ অব কমন্সের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন টনি ব্লেয়ার।

এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়া আর জাতিসঙ্ঘ মিলে গঠিত ‘কোয়েট’ এর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন।

তবে টনি ব্লেয়ার আলোচনায় ফিরে আসেন ২০১৭ সালের মার্চ মাসে, যখন তিনি দ্য টনি ব্লেয়ার ইন্সটিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জ নামের একটি প্রতিষ্ঠান গঠনের ঘোষণা দেন।

বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান হিসেবে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ২০২১ সালে টনি ব্লেয়ারকে নাইটহুড উপাধি দেন।

ডিক চেনি
বুশ প্রশাসনের জ্বালানি নীতি এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণে মূল ভূমিকা রেখেছেন তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি।

তিনি গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে ২০০৩ সালের ১৬ মার্চ দাবি করেন, ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের কাছে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে। পরে অবশ্য তার সেই তথ্য ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়।

আমেরিকান গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর ডিক চেনির সাবেক প্রতিষ্ঠান হ্যারিবার্টন ইরাক পুনর্গঠনের একাধিক লোভনীয় কাজ পায় আমেরিকান সরকারে কাছ থেকে।

ড. আলী রিয়াজ বলেন, ইরাক যুদ্ধের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের বিবেচনার অন্যতম একটা বিষয় ছিল তেল সম্পদের ওপর তাদের আধিপত্য তৈরি করা এবং মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিকভাবে এক ধরনের আধিপত্য তৈরি করা।

তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু সেটা তো হয়নি, বরং উল্টাটা হয়েছে।‘

‘সাদ্দাম হোসেনের পতনের পরে ইরাকে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হলো, শিয়া-সুন্নিদের মধ্যে মতপার্থক্য, ইরানের প্রভাব বেড়ে যাওয়া, এই প্রভাব অনেকে ভাবতে পারেননি।’

ড. রিয়াজ আরো বলেন, ‘ফলে আর্থিকভাবে যে ক্ষতি যুক্তরাষ্ট্রের হয়েছে, তার চেয়েও রাজনৈতিকভাবে তারা অনেক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে।’

ডিক চেনি ২০০৯ সালে অফিস ছাড়ার পর মাঝে মাঝে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় এসেছেন। বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ওবামা প্রশাসনের নীতি নিয়ে তিনি অনেক সমালোচনা করেছেন।

ডিক চেনি ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছিলেন।

কংগ্রেসে ডিক চেনির সাবেক আসনে পরের বছর তার মেয়ে লিজ নির্বাচিত হলে ডিক চেনি বলেন, প্রয়োজনে যেকোনো পরামর্শ দিয়ে তিনি পাশে থাকবেন। পরে তিনি বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন।

ডোনাল্ড হেনরি র‍্যামসফিল্ড
তিনি ছিলেন জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রশাসনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ফলে পদের কারণেই আফগানিস্তান ও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে তাকে প্রধান ভূমিকা রাখতে হয়েছে।

তার দফতর এমন তথ্য উপস্থাপন করেছিল, আল-কায়েদার সাথে সাদ্দাম হোসেনের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।

ফ্রান্স ও জার্মানি ইরাক যুদ্ধে বিরোধিতা করায় তাদের ‘ওল্ড ইউরোপ’ বলে বর্ণনা করেছেন র‍্যামসফিল্ড।

২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো মিলিয়ে আটজন জেনারেল মিলে সামরিক পরিকল্পনা ও কৌশলের বিষয়ে অদক্ষ দাবি করে হেনরি র‍্যামসফিল্ডের পদত্যাগের দাবি জানান। নভেম্বরে পদত্যাগ করেন তিনি।

এরপর হেনরি র‍্যামসফিল্ড বেশ কয়েকটি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বেশ কয়েকটি বইও লিখেন। অবসর জীবন কাটানোর সময় ২০২১ সালে তিনি মারা যান।

পল উলফোভিৎস
ইরাকে অভিযান শুরুর আগে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র সংক্রান্ত দাবি তৈরির পক্ষে জোরালো ভূমিকা রেখেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী পল উলফোভিৎস।

তার নেতৃত্বে আট থেকে নয়জন বিশ্লেষকের সমন্বয়ে ‘অফিস অফ স্পেশাল প্ল্যানস’ নামে একটি বিশেষ সেল তৈরি করা হয়, যাদের কাজ ছিল সাদ্দাম হোসেনের সাথে আল কায়েদার যোগাযোগের সূত্র খুঁজে বের করা।

কয়েক মাস ধরে গবেষণার পর সেলটি বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে ইরাকে সম্ভাব্য বিধ্বংসী অস্ত্র থাকার তথ্য নিয়ে হাজির হয়।

পরে ২০০৫ সালে পল উলফোভিৎসকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করেন জর্জ ডব্লিউ বুশ। ২০০৭ সালে কেলেঙ্কারির জের ধরে তাকে পদত্যাগ করতে হয়।

বর্তমানে তিনি আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিউটের ভিজিটিং স্কলার হিসাবে কাজ করছেন।

আহমেদ শালাবি
আহমেদ আবদেল হাবি শালাবি ইরাকি একজন রাজনৈতিক, যিনি ওই দেশের ইরাকি ন্যাশনাল কংগ্রেস দলটি প্রতিষ্ঠা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র অভিযান চালিয়ে সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাত করার পর ক্ষমতাসীন কাউন্সিল অব ইরাকের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

সাদ্দাম হোসেন ক্ষমতায় থাকার সময় যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেন শালাবি। সেই সময় বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীর সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়।

যে সূত্রের বরাত দিয়ে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রের দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য, সেটি শালাবির দলের একজনের কাছ থেকে পাওয়া বলে ধারণা করা হয়। সেই সূত্র দাবি করেছিল যে তিনি এমন একটি রাসায়নিক ল্যাবে কাজ করতেন, যেখানে অস্ত্র বানানো হতে পারে।

মার্কিন বাহিনী ২০০৩ সালে ইরাকের দখল নেয়ার পর তাদের সাথেই আহমেদ শালাবি ইরাকে প্রবেশ করেন। এরপর ইরাকের অন্তঃবর্তীকালীন সরকারে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শালাবি। যদিও পরে পেন্টাগনের সাথে তার সম্পর্কের অবনতি হয়।

পরে তিনি ইরাকের সরকারের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৫ সালে মারা যান।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
পাঁচবিবিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক ব্যক্তির মৃত্যু স্পেশাল অলিম্পিকে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, প্রশংসিত দেওয়ানগঞ্জের রবিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরো ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা থাই-মিয়ানমার সীমান্ত শহরের কাছে আবারো সংঘর্ষ শুরু : থাই সেনাবাহিনী পাঁচবিবিতে মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল চুয়াডাঙ্গায় ১৪০তম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলো বার্বাডোস সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে আছে : রিজভী কুষ্টিয়ায় অস্ত্রসহ যুবলীগ নেতা আটক পাকিস্তানে একসাথে ৬ শিশুর জন্ম, সবাই সুস্থ ৪০ বছর ধরে মুসল্লিদের ফ্রি চা খাওয়ানো মদিনার সেই বৃদ্ধের ইন্তেকাল

সকল