২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ইরানি সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরাইল!

ইরানি সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরাইল! - ছবি : সংগৃহীত

ইরানের একটি সামরিক কারখানায় ড্রোন হামলার পেছনে দৃশ্যত ইসরাইল ছিল বলে মার্কিন কর্মকর্তারা মন্তব্য করেছেন।

ইরান রোববার জানিয়েছে, মধ্যঞ্চলীয় নগরী ইসফাহানের কাছে একটি সামরিক স্থাপনাকে টার্গেট করে পরিচালিত ড্রোন হামলার চেষ্টা তারা ভণ্ডুল করে দিয়েছে। তারা আরো জানায়, এতে কেউ হতাহত হয়নি।

হামলার ক্ষয়ক্ষতি নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। ইরানি রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত ফুটেজে আকাশে আলোর ঝলকানি এবং ঘটনাস্থলে জরুরি সেবায় নিয়োজিত গাড়ি দেখা গেছে।

পরিচয় প্রকাশ না করে মার্কিন কর্মকর্তা এবং হামলার সাথে পরিচিত লোকজনের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, এই ড্রোন হামলার নেপথ্যে ছিল ইসরাইল। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মনে হচ্ছে যে ইসরাইল এতে জড়িত। আরেক মার্কিন কর্মকর্তা 'আমেরিকা কোনো ভূমিকা পালন করেনি'- এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি।

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সিনিয়র সহকারী মাইখোইলো পোডোলাইক এই ঘটনার সাথে তার দেশের যুদ্ধের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ইউক্রেনের বিভিন্ন নগরীতে হামলার জন্য রাশিয়াকে শত শত ড্রোন ইরান সরবরাহ করেছে বলে ইউক্রেন অভিযোগ করছে।

পোডোলাইক বলেন, 'ইরানে বিস্ফোরক রাত্রি। তোমাকে সতর্ক করা হলো।'

ইরানের রাজধানী থেকে ইসফাহান ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-নির্মিত এফ-১৪ যুদ্ধবিমানের একটি বহর রয়েছে। তাছাড়া এখানে পরমাণু জ্বালানি গবেষণা ও উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে।

ইরানে বেশ কয়েকটি হামলার নেপথ্যে ইসরাইল রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়ে থাকে। এসবের মধ্যে ২০২১ সালের এপ্রিলে ভূগর্ভস্থ নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় হামলাও রয়েছে। ওই হামলায় এর সেন্ট্রিফিউজও ধ্বংস হয়ে যায়। ২০২০ সালে দেশটির শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যার জন্যও ইসরাইলকে দায়ী করা হয়ে থাকে।

ইসরাইল এসব অভিযানের দায়দায়িত্ব সাধারণত স্বীকার করে না।

সূত্র : আল জাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement